আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

করোনা টিকা নেওয়ার পর ৩ শতাধিক ব্যক্তির শরীরে রক্ত জমাট

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১১ ২১:২৪:১৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ড নেওয়ার পর ভারতে ৩২০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা পেয়েছেন গবেষকরা। একই সঙ্গে তাদের প্ল্যাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

টিকা নেওয়ার পর ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যেও একই ধরনের কিছু ঘটনা নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তখন ভারত প্রথমবারের মতো এই তথ্য জানাল। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ুর ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. গগনদ্বীপ ক্যাং রোববার ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি যখন ৩২০টি ঘটনা ঘটতে পারে বলছি; তখন আমি এটাও বলছি যে, আমাদের ঝুঁকি ঠিক যুক্তরাজ্যের মতোই। আমাদের ঝুঁকি কম হলে এটা ঘটত না।

অধ্যাপক ডা. গগনদ্বীপ ক্যাং বলেন, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা খু্বই সাধারণ। কারো যদি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়, তাহলে এর কারণ রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া হতে পারে। আপনি যদি ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেন এবং তাদের এক মাসের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখেন; তাহলে তাদের মধ্যে অনেকের রক্ত জমাট বাঁধা এবং স্ট্রোকের ঘটনা পাবেন।

ধরা যাক, টিকা নেওয়া ছাড়াই মাসে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে এক হাজার জনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটলো। তিনি বলেন, তারপর ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পর যদি এক হাজার জনের রক্ত জমাট বেঁধে যায়; তাহলে বিষয়টির তুলনা করা সহজ হবে। তাদের মধ্যে এক হাজারের পরিবর্তে যদি ১০ হাজার জনের রক্ত জমাট বাঁধে সেক্ষেত্রে এটি উদ্বেগজনক হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শুধু রক্ত জমাটের দিকেই নজর রাখলে চলবে না। বরং রক্তে প্ল্যাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে।

ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. গগনদ্বীপ ক্যাং বলেন, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা মূল্যায়নের জন্য আমাদের কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করা দরকার। তখন ভ্যাকসিনের সঙ্গে রক্ত জমাটের সম্পর্ক আছে কি না তা তুলনা করা যাবে।

এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৩০ বছরের নিচের জনগোষ্ঠীকে না দেওয়ার সুপারিশ করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। ব্রিটিশ এই কোম্পানির টিকা নেওয়ার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশে ৩০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা তদন্ত করছে ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ যুগান্তর / জিএসি-২০

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন