আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নারীদের নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হতো 'ক্যাম্প-২২'-এ!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-১৯ ০০:৩৬:৫৪

উত্তর কোরিয়ার Haengyong Concentration Camp কে ক্যাম্প-২২ বলা হত। পৃথিবীর নিশংসতম জায়গাগুলোর তালিকায় ক্যাম্প-২২ এ মানুষকে কখনোই মানুষ বলে মনে করা হতো না। এখানে অভুক্ত শিশুরা খাবারের জন্য প্রহরীর লাথি খেয়ে মারা পড়ত। নারীদের নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে মেরে ফেলে হত। এখানে প্রসূতি নারীদের সরাসরি পেট কেটে ভ্রূণ বের করে ফেলা হতো। বড় তক্তা দিয়ে পিষে পিষে গর্ভপাত করানো হতো ৮-৯ মাসের প্রসূতিকে ! এখানে রাজনৈতিক সমালোচনা বা রাজনৈতিক ‘অপরাধী’কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হতো। 

২০১২ সালে আর্ন্তজাতিক গণম্যাধম এর নজরে আসে যখন এর একজন রক্ষি চীনে পালিয়ে যায়। রাজনৈতিক বন্দিদের এখানে এনে এখানে রাখা হয়, এমনি কি তিন পুরুয ধরে পর্যায়ক্রমে পরিবারের সদস্যদের এখানে ধরে আনা হয় যাতে আন্দোলনের শিকর উপরে ফেলা যায়। উত্তর কোরিয়ার উত্তর পূর্ব সীমান্তে হোয়ের ইয়ং কাউন্টিতে ২২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই নরকের অবস্থান ছিলো। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই ক্যাম্প ১০ ফুট চওড়া ৩,৩০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে আবৃত। কঠোর নিরাপত্তা এবং ক্যাম্প পরিচালনার জন্য প্রায় ১,০০০ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং প্রশিক্ষিত কুকুরসহ পাহারাদার এবং ৫০০–৬০০ কর্মকর্তা ছিলো। কিছুদূর পর পর ল্যান্ড মাইন এবং মানুষ মারার গোপন ফাঁদ ছিল এখানে। প্রায় ৫০ হাজার নারী পুরুষ ও শিশুবন্দী ছিল বলে জানা যায়। 

ক্যাম্প-২২ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন ডেভিড হক নামে এক মানবাধিকার গবেষক। তিনি ক্যাম্পের কিছু সাবেক পাহারাদার এবং পালিয়ে আসা বন্দিদের কাছ থেকে বেশ কিছু সাক্ষাৎকার নেন। সাধারণত বহির্বিশ্বের মানুষ এই ক্যাম্পগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছে তাদের কাছ থেকে- যারা একসময় এই ক্যাম্প-২২ এর কর্মী হিসেবে ছিলেন। অথবা যারা পালিয়ে এসেছেন। জানা যায়, এসব ক্যাম্পের বন্দীদের দিয়ে চাষবাস থেকে শুরু করে কারখানার কাজও করানো হয়। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির একটা বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে এই ক্যাম্পগুলোর শিল্পোৎপাদন। এরকম ভয়াবহ নরক উত্তর কোরিয়ায় আরো রয়েছে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন