Sylhet View 24 PRINT

রং ফর্সা ক্রিম মেখে বিপাকে লাখো নারী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-০৫ ১৮:৪৬:৪৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মুখের রং ফর্সা করার জন্য নাম না-জানা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম মেখে থাকেন নারীরা। তবে এই রং ফর্সার নামে যেসব ক্রিম বাজারে বিক্রি করা হয়; তা ত্বকের জন্য মারত্নক ক্ষতিকর। এমনকি মুখে ক্যানসার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের মতো শ্রীলংকায় ও দক্ষিণ এশিয়ায় আরো অনেক নারীই তাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে আগ্রহী। গায়ের রঙ ফর্সা করতে চাওয়া অনেক নারী মুখ পুড়ে গেছে এই রং ফর্সার ক্রিম মেখে। খবর-বিবিসির।

শ্রীলংকার ও দক্ষিণ এশিয়ায় অনেক নারীরা জানান, এই রং ফর্সার ক্রিম ব্যবহারের ফলে তাদের মুখে প্রথমে সাদা রংয়ের ছোপ ছোপ দেখা গেল, যা পরে কালো দাগে পরিণত হয়। কারণ এই প্রসাধনী সামগ্রীগুলো কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছিল না।

এসব ঘটনার পর থেকে শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ এখন অনুমোদন নেই এরকম রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

কিন্তু এই সমস্যা শুধু শ্রীলংকারই সমস্যা নয়। এশিয়া এবং আফ্রিকাতে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ নারীরই গায়ের রং ফর্সা করার জন্য এমন কিছু ক্রিম ব্যবহার করে, যা পরবর্তীতে ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশ্বে গায়ের রং ফর্সা ক্রিমের বাজার

সারা বিশ্বে গায়ের রং ফর্সা করার এই বাজারের আকার ২০১৭ সালে ছিল প্রায় ৪৮০ কোটি ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এই বাজার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৮৯০ কোটি ডলারে।এর চাহিদা মূলত এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যবিত্ত পরিবারে সবচেয়ে বেশি।

রং ফর্সাকারী এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সাবান, ক্রিম, ব্রাশ, ট্যাবলেট। এমনকি ইনজেকশনও রয়েছে। মানব দেহে মেলানিন পিগমেন্টের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই ইনজেকশন। অথচ এগুলো অনেক জনপ্রিয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেবে দেখা গেছে, আফ্রিকাতে প্রতি ১০ জন নারীর চারজন রং ফর্সাকারী পণ্য ব্যবহার করে থাকেন।

সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নাইজেরিয়াতে। সেখানে ৭৭ শতাংশ নারী ত্বকের রং উজ্জ্বল করার জন্যে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন।

তার পরেই রয়েছে টোগো ৫৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ শতাংশ। এশিয়ায় ৬১ শতাংশ ভারতীয় নারী এবং চীনে ৪০ শতাংশ নারী এসব ব্যবহার করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, এসব জিনিসের প্রতি ভোক্তাদের চাহিদাও বাড়ছে। তাই এই বিষয়গুলো মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ এসব ট্যাবলেটে পাওয়া গেছে এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্লুটাথিওন।

গর্ভবতী নারীরা মনে করেন তারা যদি এই ট্যাবলেট খান, তাহলে তাদের গর্ভে থাকা সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হবে।

এধরনের পণ্য মোকাবেলার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকাতে আছে কঠোর আইন। গাম্বিয়া, আইভরি কোস্ট এবং রুয়ান্ডাতে রং ফর্সাকারী যেসব পণ্যে হাইড্রোকুইনোন আছে, সেগুলো নিষিদ্ধ করেছে।

চিকিৎসা

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন বলছে, হাইড্রোকুইনোন আছে এরকম পণ্য নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যেসব স্থানে কালো দাগ পড়ে গেছে সেগুলো এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় এবং তাতে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র এন্টন আলেকজানড্রফ বলেন, রং ফর্সাকারী ক্রিমের কোনোটিতে হয়তো উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই একজন ত্বক বিজ্ঞানীর পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করতে হবে। নয়তো বিপজ্জনক হতে পারে ত্বকের জন্য।


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/০৫ জুলাই ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.