আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

খাঁটি সোনা চিনবেন যেভাবে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২৬ ১৭:০৩:০৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সোনার গয়না বিশেষ করে নারীদের আগ্রহ বেশি। তবে খাঁটি সোনা চিনতে পারেন না অনেকে। খরচ করেই সোনা কিনেন। কিন্তু সোনায় খাদ বেশি থাকায় বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যায় না।

সোনার দাম এখন আকাশছোঁয়া। ২২ ক্যারেট সোনার ভরি এখন ৩৭,৭৫০ টাকার কাছাকাছি। তবে সোনা কেনার আগে খাঁটি সোনা চেনা জরুরি।

খাদ কতখানি

সাধারণত ২৪ ক্যারাট সোনাই হল খাঁটি। ২৪ ক্যারাট সোনা মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি সোনা। কিন্তু একেবারে খাঁটি সোনা দিয়ে গয়না তৈরি করা যায় না, প্রয়োজন হয় সামান্য খাদের।

দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারাট সোনা দিয়েই অলঙ্কার তৈরি হয়। সে দিকটা খতিয়ে দেখতে হবে, যাতে ২২ ক্যারাটের সোনাই দেওয়া হয়। ২২ ক্যারেট সোনা মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা।

২১ ক্যারাটে থাকে ৮৭ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ শতাংশ সোনা। তবে আমাদের দেশে ২২ এবং ২১ ক্যারেট সোনা দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়।

খাঁটি সোনা চিনবেন যেভাবে

স্পেকট্রোমিটার এমন এক যন্ত্র, যাতে মাপার পর সোনায় খাদ থাকলে সহজেই তা ধরা পড়বে। যন্ত্রই বলে দেবে কত ক্যারাটের সোনা আপনাকে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে আপনার সোনার খাদ যাচাই করে তবেই সোনা কিনুন।

এছাড়া দেখে নিন হলমার্ক। তাতে বিক্রির সময়ে খাদ বাদ যাবে না। কেবল মজুরিটুকুই বাদ যাবে।

সোনা কেনার আগে যা করবেন

সোনা কতটা খাঁটি

সোনার গয়না কতটা খাঁটি তা ঠিক করে ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’ (বিআইএস)। প্রত্যেক গয়নায় একটি নম্বর হলমার্ক করা থাকে, বিআইএস স্ট্যাম্প, সোনার ক্যারাট, হলমার্কের সাল, স্বর্ণকারের পরিচয় ও স্থান— এই তথ্য থাকতেই হবে। কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এই ব্যাপারগুলি।

তৈরির উপর কত ছাড়

কেনার আগেন অবশ্যই জেনে নিন ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। কোনও হিড্ন চার্জেস আছে কি নাও জেনে নিন।

দাম যাচাই করুন

দামের হেরফের


প্রায় কাছাকাছি নকশার গয়না বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামের হতেই পারে। কারণ হিসাবে সোনার মান আর মেকিং চার্জের যুক্তি দেখান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাই বেশ কিছু দোকানে আগে সার্ভে করে তবেই কিনুন সোনার গয়না।

সোনায় বিনিয়োগ

লগ্নির উদ্দেশে সোনা কিনতে চাইলে, অবশ্যই সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে কিনুন।

মণিমুক্তাখচিত

সোনার গয়নায় হিরে, রুবি, পান্না জাতীয় পাথরের কাজ থাকলে তা দেখতে ভালই লাগে আর সে ক্ষেত্রে দামটাও বেড়ে যায় অনেকখানি। অথচ পরবর্তী কালে বিক্রি করার সময় সেই গয়নার মনের মতো দাম পাওয়া যায় না। তাই সোনার গয়নায় পাথর না থাকাই ভাল।


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৬ অক্টোবর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন