Sylhet View 24 PRINT

ধূমপায়ীদের ঝুঁকি ১৪ গুণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০২ ১১:২০:৫৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: অধূমপায়ী ব্যক্তির তুলনায় ধূমপায়ী ব্যক্তির করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। তামাক সেবনে বিশ্বে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে করোনার থাবা ধূমপায়ী, মাদকসেবীদের সামনে মৃত্যুদূত হিসেবে হাজির হয়েছে। এই ঝুঁকির মধ্যেই গতকাল পালিত হলো বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। ধূমপানবিরোধী সংগঠন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, চীনে হাসপাতালে ভর্তি ২০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ী, মাদকসেবী ব্যক্তিরা বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ ধূমপানের কারণে তাদের ফুসফুস আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম ছিল। যারা ই-সিগারেট, সিসা খায় তাদের ফুসফুস বেশি দুর্বল থাকে। তিনি বলেন, ধূমপানের ফলে ৭ হাজার রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৭০টি সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে। এ জন্য তাদের ফুসফুস আগে থেকেই সংক্রমিত। তাই তাদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি। তাদের মৃত্যুর হারও বেশি। এ জন্য শুধু মাস্ক, গ্লাভস পরে সাবান দিয়ে হাত ধুলে হবে না। জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।

জানা যায়, বছরে প্রায় ৯০ লাখ লোক তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর মধ্যে ৮০ লাখ মারা যায় প্রত্যক্ষভাবে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের ফলে। আর ১০ লাখ মারা যায় ধূমপায়ীর পাশে থেকে অর্থাৎ পরোক্ষভাবে ধূমপানের ফলে। সারা বিশ্বে তামাক ব্যবহারজনিত রোগ, পঙ্গুত্ব, অক্ষমতা ও মৃত্যুর কারণে ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও, তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও’। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাক মানবদেহের জন্য একটি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত পদার্থ। মানবদেহের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে বিদ্যমান। সিগারেটে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। আর ৭০টি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম। নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, বেনজোপাইরিন, ফরমালডেহাইড, অ্যামোনিয়া, পোলোনিয়াম-২১০ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ধূমপান ও তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বিশ্বে ক্যান্সার, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগের এবং মৃত্যুর কারণ। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের করাল গ্রাস থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য ১৯৮৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে প্রতি বছর একটি দিনকে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সাল থেকে ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে।

সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২ জুন ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.