আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

করোনার আঁধার কেটে আলো আসবেই

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-২৬ ১৫:০১:২৭

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন, বন্ধু আর পরিচিতজনেরা কার্যত গৃহবন্দি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত দেশে আমরাও কার্যত বন্দি। দেশে বিদেশে সবার সাথেই কমবেশি নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যারা কোথাও আটকে পড়েছেন, একা আছেন বা এ পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না সহ নানাবিধ কারণে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন। এই সময়ে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে কিভাবে মানিয়ে নিতে সহায়তা করা যায় কয়দিন যাবত ভাবছিলাম এবং দূরে থেকে হলেও কিছু করতে পারি কিনা সেটাই ভিতর থেকে তাগিদ অনুভব করছিলাম।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা অনেকটা অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন, সামনের সময়টা আপনারা কিভাবে পার করবেন তা নিয়ে আমার ভাবনা তুলে ধরেছি। জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে একেবারে ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে হলেও এই লেখার কোন একটি শব্দ আপনাকে যদি বেঁচে থাকার আশা দিতে পারে, তবে আমার মত অতি ক্ষুদ্র মানুষের জন্য এক জীবনের সেরা প্রাপ্তি হবে। সারা পৃথিবীর আমার কাছের দূরের সবার উদ্দেশ্যে এই খোলা চিঠি-

প্রিয়,
শুভেচ্ছা নিবেন.
বর্তমান মহামারীতে আমরা সবাই অস্থির একটা সময় পার করছি। অনেকেই হয়তোবা প্রিয়জন, স্বজন হারিয়েছি অথবা এসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হব এই ভয়ে ভয়ে দিন পার করছি। একসাথে আমরা সবাই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি। তাই সবাইকে একসাথেই এর মোকাবেলা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতেও অনেকের প্রতিদিনই ঘরের বাইরে বের হতে হবে। ফলে আমাদের প্রতিমুহূর্তে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকছে। তাই আক্রান্ত হবার ভয়, আক্রান্ত হলে মৃত্যু ভয়, আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে দুশ্চিন্তা, বেতন না পাওয়া, চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়াসহ নানাবিধ নতুন পরিস্থিতি আমাদের তাড়া করছে এবং আমরা মুখোমুখি হচ্ছি যার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

ফলে আমরা অনেকেই মানসিকভাবে যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি অসহায়, বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি এবং অনেকেই উদ্বেগ, উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়েই দিনযাপন করছি। যদিও মহামারীর সময়ের এরকম হওয়াটা অনেকেটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় খুব সহসাই এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবার সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। ফলে যাদের বাইরে বের হওয়া একান্ত প্রয়োজন তারা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হবেন। তাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের থেকে পাওয়া তথ্যে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আপনাদের সম্ভাব্য করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

করোনাকালে মানসিক স্বাস্থ্য:
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রধান উপায় হলো মানসিক শক্তি। তাই এই সময় মনের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মনকে এ সম্পর্কিত যত বেশি নেতিবাচক খবর দিতে থাকবেন মন তত নেতিবাচক খবর নিতে থাকবে এবং মন ভয় পেয়ে বসবে, যা দিনশেষে আপনাদের শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বা প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। ভয়ের খবর, আতঙ্কের খবর, মৃত্যুর খবর শুনলে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবেন। আর মানসিকভাবে দুর্বল হলে যুদ্ধ শুরুর আগেই আপনি হেরে যাবেন। অপরদিকে, নিজের দক্ষতা, সক্ষমতা, সাফল্য, ব্যর্থতা, পছন্দ, অপছন্দ, ভালো লাগা, না লাগা এগুলোতে মনোযোগী হলে আপনি এরচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ভিন্নভাবে ভাবতে পারবেন। অন্তত করোনা ছাড়া আরো হাজারটা বিষয় নিয়ে আপনার জীবন। সেদিকে মনোযোগ দিলে এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়াটা সহজ হবে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই পরিস্থিতির কাছে হেরে যাবেন নাকি পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকবেন সিদ্ধান্তটা আপনার।

পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে বিষয়গুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
• আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বিষয়গুলো থেকে মনযোগ সরিয়ে বর্তমানে মনোযোগ দিন। অতীতের না পাওয়া বা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা কোনটাই দিনের শেষে আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই আপনি বর্তমানে থাকার চেষ্টা করুন, ভালো থাকবেন।
• করোনা নিয়ে নেতিবাচক খবর শোনা বন্ধ করে করোনার ইতিবাচক খবর শুনুন এবং ছড়িয়ে দিন।
• সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত রাখুন ও অপয়োজনীয় খবরগুলো (যেমন- গুজব সংক্রান্ত ) অবশ্যই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আপনি এগিয়ে থাকবেন।
• এই সময়ে নিশ্বাস নিতে পারছেন, বেঁচে আছেন, ভাল আছেন, এই জন্য অবশ্যই এ বিশ্বপ্রকৃতি ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
• আপনার আশেপাশে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে আক্রান্তের পাশে দাঁড়ান এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করুন।
• যাদের সুযোগ আছে তাদের সময় না পাওয়ায় অনেক অপূর্ণ শখ পূর্ণ করার (বাগান করা, মাছ ধরা, ছবি আঁকা ইত্যাদি যার যা শখ আছে) এখনই সময়।
• পছন্দের বই, সিনেমা, গান যার যা পছন্দ, ভালো লাগে দেখতে পারেন, পড়তে পারেন।
• পরিবারের বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ মানুষদের দিকে বিশেষভাবে যত্ন নিন।
• দূরে থাকা প্রিয়জনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
• এই সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করুন। আতঙ্ক আপনাকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দিবে।
• আপনার আশেপাশের মানুষ কেমন আছেন খোঁজ নিন। প্রয়োজনে তাদের বিপদ আপদে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। সহযোগিতা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে।
• এই সময়ে আপনার পাশে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারাই আপনাকে ভাল রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে যাচ্ছেন, তাদের নিয়মিত খোঁজখবর নিন। তাদের প্রয়োজনেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
• বাসায় থাকেন বা কাজে যান প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করুন।
• যাদের এখন প্রতিদিন বের হতে হবে, তারা সম্ভব হলে বাসায় আলাদা থাকার চেষ্টা করুন।
করোনার সময় ব্যায়াম ও রিলাক্সেশন:
অন্য সময়ের মতো বর্তমান সময়েও নিয়মিত ব্যায়াম (পরিস্থিতি অনুযায়ী হাঁটা, দৌড়ানো বা বাসায় করা যায় এরকম ব্যায়াম) করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আর নিয়মিত রিলাক্সেশন আমাদের মনের যত্নের জন্য ভাল কাজ করবে। রিলাক্সেশন করলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে । মানসিক শক্তি বা মনোবল এ পরিস্থিতিতে খুবই দরকার যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে এবং রোগের তীব্রতা কমিয়ে দিবে। এজন্য ব্যায়াম ও রিলাক্সেশন সম্ভব হলে আপনার প্রতিদিনের রুটিনে যুক্ত করুন।

ঘরোয়া থেরাপি-১:
আক্রান্ত হলে আদা, রসুন, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও সরিষার তেলসহ কুসুম পানির ভাপ নেয়া এবং গরম পানি করা। অতিরিক্ত গরম পানিতে ভাপ নিলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই পানি অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে গরম হতে হবে। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসাপাতালের চিকিৎসায় ঔষধের সাথে এই পানীয় সুস্থ হতে অনেককে সহায়তা করেছে। সুস্থ মানুষেরা নিয়মিত করলে আক্রান্ত হলেও লক্ষণের তীব্রতা কম হওয়ায় সম্ভাবনা থাকবে।

ঘরোয়া থেরাপি-২:
কোন একটি নির্দিষ্ট খাবার খেলেই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বিষয়টা মোটেও এরকম না। তাই আপনি পানীয় যেমন- আদা চা, লেবু চাসহ কাঁচা হলুদ, মধু ইত্যাদি পছন্দ মত জিনিস মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। সুস্থ মানুষেরা খেলে আক্রান্ত হলেও লক্ষণের তীব্রতা কম হওয়ায় সম্ভাবনা থাকবে।
চায়নিজরা ঔষধের উপর কম গুরুত্ব দিয়েছে। মূলত সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে এই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে।

পিৎজা, বার্গারে আর আধুনিক খাবারে অভ্যস্ত আমি নিজেও একটু জানার চেষ্টা করলাম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এসবের ভূমিকা দেখে মনে হয়েছে বেঁচে থাকার জন্যে হলেও প্রকৃতিতে ফিরতে হবে এবং প্রকৃতি নিরাশ করবে না বরং এবারে বাঁচিয়ে দিবে। তাই জিংক, প্রোটিন ও ভিটামিন এ, সি, ডি, ই সমৃদ্ধ খাবার এবং দেশী ফল, সবজিসহ নানান ধরনের খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবারে দারুন ভাবে সহায়তা করবে আমার বিশ্বাস।
আদা,রসুন,মধু, কালোজিরা ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।এছাড়াও প্রকৃতিতে বিদ্যমান নানান ধরনের ভেষজ খাবার,বিভিন্ন ধরনের মসলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনাকে সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এসব জিনিস আপনার খাবারে যুক্ত করতে পারেন।

আক্রান্ত হলে করণীয়:
বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত মানুষদের পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রায় ৮০% অধিক মানুষ আক্রান্ত হলেও কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না এবং এমনিতেই সুস্থ হয়ে যান। তাই করোনায় আক্রান্ত হলেই আপনার মৃত্যু হবে না এটা বিশ্বাস করতে শুরু করুন। বিশ্বব্যাপী রোগীদের ঘরে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সাধারণত প্রায় ২০% মত মানুষের লক্ষণের তীব্রতা সাপেক্ষে হাসপাতাল গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, এদের মধ্যে ৫% মানুষের আইসিইউ সাপোর্ট লাগে এবং মৃত্যুহার ১%। তাই আক্রান্ত হলেই নিজেকে ১% অংশে ভাবার হয়ত কোন কারণই নেই। তাই আক্রান্ত হলে আপনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে হলেও বেঁচে যাবেন এই চিন্তা আপনার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিবে।
অপরদিকে, আক্রান্ত হলেই আপনি মারা যাবেন এ ধারণা আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিবে। আর কোন কারণে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ শুরু হলেই আপনার মৃত্যু আতঙ্ক শুরু হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যেখানে সহজেই হয়ত আপনি সুস্থ হতে পারতেন, সেখানে আপনার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাকে দীর্ঘায়িত করবে এবং অনেক ক্ষেত্রে এ লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা কমিয়ে দিবে।

তাই এবারেও সিদ্ধান্তটা আপনার আপনি বাঁচতে চান কিনা। তাই আক্রান্ত হওয়া মানেই মৃত্যু এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন।বিশেষ করে উল্লিখিত বিষয়গুলো যা আপনার করতে ভাল লাগবে নিয়মিত চর্চা করতে পারেন।আর আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আতঙ্কিত হওয়ার অন্যতম কারণ হয়তবা আপনি দীর্ঘদিন ধরে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে আছেন।
তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছি মানসিক শক্তির জোরে আপনি এবারে জিতবেন। আর এরকম আক্রান্ত না হয়েও বর্তমানের মহামারী পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এজন্য আমি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারব বা আপনি নিজেও প্রয়োজনে সমস্যার তীব্রতাভেদে কোন মনোবিজ্ঞানী, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে পারবেন। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপনার সচেতনতা এ সময়ে আপনাকে অবশ্যই এগিয়ে রাখবে।
বর্তমান সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি ঘরে বাইরে পুরোপুরি মানা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা (মনোবল না হারানো), পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়াই হল পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সুযোগ থাকলে ১৫ দিনের শপথ নিন। আপনি নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম ও ২০ মিনিট রিলাক্সেশন, মনের যত্ন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করুন। আপনি আত্মবিশ্বাসী এক নতুন মানুষ হবেন। আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন।

আপনিসহ পরিবারের সবাই এগুলো মেনে চললে বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার আত্মবিশ্বাস পাবেন। জীবনটাকে করোনাময় না বানিয়ে করোনার বাইরেও আপনার যে সুন্দর জীবন আছে, সেদিকে মনোযোগ দিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করুন। করোনার বাইরের পৃথিবীটা অনেক বেশি সুন্দর, সেই সৌন্দর্যকে নিজের কাছে টানুন, আপনি ভাল থাকবেন।

করোনা আমাদের সবাইকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে এবং উপলব্ধিতেও ধাক্কা দিয়ে গেছে।করোনা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে পৃথিবীটা শুধু মানুষের না। ক্ষুদ্র পিপড়া থেকে শুরু করে সাগরের তিমি আর পাহাড়ের হাতিসহ সমগ্র প্রাণীকুলের এই পৃথিবী। শুধু আমার পৃথিবী বলা আর সম্পদে, অহমিকার বড় হওয়া মানুষদেরও নাড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে পৃথিবীটা সবার। তাই আপনি বাঁচলে বাপের নামটা একটা ভুল কনসেপ্ট। আর সবাইকে সাথে নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই জীবনের যথার্থতা নিহিত। অনেকেই জীবনকে নতুনভাবে ভাববেন, সাজাবেন আর আপনার অবদানে সামনের পৃথিবীটা আরও মানবিক হবে সেই প্রত্যাশা করছি। সেই সময়ে আমিও আপনার পাশে থাকব।

করোনা মুক্ত মানবিক পৃথিবীতে আবারও দেখা হবে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকুন সবাই। নতুন সূর্যদয়ের অপেক্ষায়…
শুভ কামনায়,
অতনু পাল রাজ
অ্যাসিসটেন্ট কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
উখিয়া, কক্সবাজার।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন