আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

প্রিয়জনের দুঃসময়ে কেমন মেসেজ পাঠানো উচিত?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-১৭ ২০:৪৭:২১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সময়টা বড্ড খারাপই যাচ্ছে সবার। এমনকী কিছু কিছু দিনে খারাপ মুহূর্তগুলো আঁকড়ে ধরে, ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পরে। এমন দিনগুলোতে আমরা কেমন জানি চুপসে থাকি, ক্লান্তি অনুভব করি। যার ফলে আমাদের জীবন যাত্রার মাঝে একটি ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজ করে। এতে কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা অসম্ভব হয়ে পরে।

আপনি যদি ওভারথিংকার হন তাহলে তো আর কথাই নেই, পুরো সময় আপনার মাথায় ঘুরবে আজগুবি সব চিন্তা। প্রিয় মানুষটিকে হারানো কিংবা নিজের অস্তিত্বকে হারিয়ে ফেলা, ঘৃণা, ক্ষোভ, অনুপ্রেরণাহীন এসব অনুভূতি সত্যিকার অর্থেই নিজেকে অনেক ছোট আর আত্মবিশ্বাসহীন করে ফেলে।

এই মহামারীতে ব্যাপারটা আরও খারাপে দিকে যাচ্ছে। আমাদের বন্ধু এবং প্রিয়জনদের সাথে দেখা করার সুযোগটাও ছিনিয়ে নিয়েছে।সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে এক ভার্চুয়াল জগতে বসবাস করছি। এরকম পরিস্থিতিতে ১০টি মেসেজ রয়েছে যা আপনি কাউকে পাঠাতে পারেন যার-কিনা সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে মানুষ তার নিজেকেই হারিয়ে ফেলে, সবকিছু থেকে দূরে সরে যায়। দুঃসময়ে জর্জরিত আপনার পরিচিত মানুষটিকে কিংবা বন্ধুকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে বোঝাতে পারেন যে, আপনি তার পাশে আছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন কিছু মেসেজের কথা, যা আপনি আপনার প্রিয়জনের দুর্দিনে লিখে পাঠাতে পারেন-


আমি দুঃখিত সবকিছুর জন্য, আমি সবসময় তোমার পাশে আছি


আপনার পরিচিত কেউ যদি প্রকৃত অর্থেই খারাপ পরিস্থিতিতে থাকে বা ব্যক্তিগত ক্ষতির মুখোমুখি হঢ তবে আপনি তাদের জানাতে পারেন যে, আপনি সর্বদা তাদের পাশে আছেন। তাদের নিজেকে একা ভাবার কিছু নেই।


ধৈর্য্য ধরো এবং নিজেকে শক্ত রাখো


আপনি তাদের আশ্বস্ত করতে পারেন। কারণ মানুষ যখন খারাপ মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যায়, সেইসময় তাদের মাঝে আশা জাগ্রত রাখা অনেক কঠিন একটি কাজ। আপনার হতাশাগ্রস্থ বন্ধুকে কিছুটা সময় দিন এবং তাদেরকে ইতিবাচক আশার বাণী শোনান।

তোমাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

তার প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিন এবং সমস্যায় পড়ে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি তাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারেন। আপনার এরকম মনোভাব শুধু যে তাদের আশ্বস্ত করবে তাই নয়,দেখা যাবে তাদের সমস্যা অনেক সমাধানও হয়ে যাবে।

খারাপ সময় আসেই, তবে তা কাটিয়ে ওঠা শিখতে হবে
আশাহত মানুষটিকে ক্রমাগত মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে, খারাপ মুহূর্ত আসতেই পারে, সবার জীবনেই কখনো না কখনো এমন দিন আসে। আপনি বলুন যে, খুব শীঘ্রই এর থেকে ভালো কিছু তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান

আপনি তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানুন এবং তা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহ দিন। মাঝে মাঝে মানুষ তার অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে পারে না তবে সময়ের সাথে সাথে সেটি প্রকাশ পায় এবং আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। আপনি তাদের বলুন যতক্ষণ সে এটিকে পুরোপুরি ছাড়তে বা ভুলতে না পারছে ততক্ষণ ব্যথা বয়ে বেড়ানো, কান্নাকাটি করা এসব স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।

মুভি দেখতে কিংবা তার পছন্দের খাবার খেতে বলুন
তাদেরকে আপনার পছন্দ মতো একটি মুভি দেখার সাজেস্ট করুন যা তাদের মানসিকতাকে প্রফুল্ল করতে পারে। তাদের পছন্দের খাবারটি খেতে বলুন ,কারণ পছন্দসই খাবার নিমিষেই মন-মেজাজ ভালো করে তুলতে পারে।


গ্রুপ ভিডিও কল করুন

এই অসময়গুলোতে যখন ব্যক্তিগতভাবে কারও সাথে দেখা করা অনেকটাই কঠিন, তখন ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন। কাছের বন্ধুদেরকে নিয়ে গ্রুপ ভিডিও কল করুন এবং আপনার হতাশ বন্ধুকে অনুপ্রেরণা দিন।


নিজেকে সময় দিতে বলুন


আপনি তাকে বলতে পারেন যে, তরিঘড়ি করার দরকার নেই, আগে নিজেকে নিজে সময় দাও। বন্ধুদের সাথে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে বলুন। সময় সবকিছু ঠিক করে দেবে। তার আগে নিজের মন শান্ত এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় রাখা প্রয়োজন।


আমি জানি তুমি যোদ্ধা এবং এসময়টাও মোকাবেলা করতে পারবে

আপনার বন্ধুর এই আত্মবিশ্বাস জাগান যে, তিনি মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং জীবনের এই পর্বটিও শেষ হয়ে যাবে। এধরনের মেসেজগুলো হয়তো তার ব্যথাকে ভোলাতে পারবে না কিন্তু এই দুঃসময় মোকাবেলা করতে তাকে শক্তি জোগাবে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ অক্টোবর ২০২০/ টাইমস অফ ইন্ডিয়া /জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন