আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

করোনা প্রতিরোধ ও সুস্থতায় কিছু পরামর্শ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৮ ০৪:১৩:৪৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ভ্যাকসিন এলেও এ মহামারী প্রতিরোধ সম্ভব হয়ে উঠছে না। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ পর্যায়ে এসেও করোনা প্রতিরোধ চেষ্টায় বসে নেই দেশি-বিদেশি চিকিৎসক ও গবেষকরা। তারা বিভিন্ন পরামর্শ ও চিকিৎসার কথা তুলে ধরছেন প্রতিনিয়ত।

এর মধ্যে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. এন. এন. কান্নাপ্পান মাদুরাই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব দাবি করে একটি পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, করোনায় গরম পানি পান গলার জন্য ভালো। তবে করোনা আমাদের নাকের প্যারান্যাসাল সাইনাসের অন্তরালে ৩-৪ দিন লুকিয়ে থাকে, আর আমরা যে গরম পানি পান করি তার প্রভাব সেখানে পৌঁছাতে পারে না। পরে ৪-৫ দিন পর দেখা যায় সাইনাসে লুকিয়া থাকা ওই করোনা ফুসফুস পর্যন্ত চলে যায়, তখন আমাদের শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণেই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ গরম পানির ভাপ (গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের সঙ্গে টানা) নেওয়া। যা আমাদের নাকের প্যারান্যাসাল সাইনাসের অন্তরালে পৌঁছাতে পারে। মনে রাখতে হবে আমাদের নাকের মধ্যে থাকা অবস্থাতেই করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হবে।

ডা. কান্নাপ্পান দাবি করেন, ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভাইরাস তার কার্যকারিতা হারিয়ে অক্ষম হয়ে যায়। আর ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করোনা এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মানবদেহের যেকোনো ইমিউনিটি সিস্টেম তা প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভাইরাস অনেকটাই প্রতিরোধ হয়।

তার মতে, সাধারণত পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের সবারই গরম পানির ভাপ নেওয়ার প্রক্রিয়াটা জানা। তবে আমাদের সবার উচিৎ করোনা মহামরীতে এই সুবিধাটা কাজে লাগানো। যারা বাড়ির বাইরে বের হন না তাদের দিনে অন্তত একবার হলেও ভাপ নেওয়া উচিৎ। আর যারা কোনো কাজে বাড়ি থেকে বের হন বাজার করেন- তাদের দিনে দু’বার ভাপ নেওয়া উচিৎ। এছাড়া যারা বেশি মানুষের সংস্পর্শে যাচ্ছেন তাদের প্রতিদিন তিনবার ভাপ নেওয়া দরকার।

তার দাবি, গরম পানি পান ও এর নির্দিষ্ট তাপমাত্রার ভাপ নিঃশ্বাসের সঙ্গে নাকের ভেতরে নেওয়ায় করোনা প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব। যদি সব মানুষ এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এক সপ্তাহ চলে, তাহলে মহামারী করোনা প্রতিরোধ হবে।

কিছু পরামর্শ

গরম পানি ও এর ভাপ নেওয়ার প্রক্রিয়া এক সপ্তাহের জন্য শুরু করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা নিয়ম করে দিনে দু’বার পাঁচ মিনিট করে নিতে হবে। প্রত্যেকেই যদি এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়- তবেই করোনা অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে এই মহামারী থেকে মানুষ রক্ষা পেতে পারে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এই প্রক্রিয়ায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং বাড়তি কোনো খরচও নেই।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/পূর্বপশ্চিমবিডি /জিএসি-৩৯

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন