আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু এখন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-৩০ ১৪:৩৮:৪২

শাকির আহমদ, কুলাউড়া প্রতিনিধি :: সাংবাদিকতায় রয়েছে স্মরণীয় ক্যারিয়ার। রাজনীতি আর শিক্ষা বিস্তারেও পিছিয়ে নেই। এবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু।

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরের মাথায় ইউনিয়নের সর্বসাধারনের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়। সাধনপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম (তালুকদার) পরিবারে জন্ম নেয়া আব্দুল বাছিত বাচ্চু সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র থাকাবস্থায় পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৯৭ সালে কুলাউড়া থেকে প্রচারিত সাপ্তাহিক মানব ঠিকানা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে সিলেটের দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। ঐসময় তিনি কুলাউড়া উপজেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলার নিজ এলাকা হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইতিমধ্যে তাঁর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের দুই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।

সরেজমিন হাজিপুর ইউনিয়নের কটারকোনা, পাবই, মনু, পাইকপাড়া, পিরেরবাজার, কাউকাপনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় জনসাধারনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এলাকার সকল দুর্যোগে বর্তমান চেয়ারম্যান এগিয়ে আসেন। মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকেন। ছোটখাটো ঝুট-জামেলা হলে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে তিনি বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করে দেন। চেয়ারম্যানের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয়রা বেজায় খুশি। তাদের বিশ্বাস বর্তমান চেয়ারম্যানের অধিনে হাজিপুর ইউনিয়ন জনসাধারণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

তিনি পরিষদ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পরামর্শ নেন না। হাটে-ঘাটে যত্রতত্র মানষের সুখ-দুঃখের সাথে একাত্বতা পোষণ করেন। কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের বিশ বছরের পুরাতন সমস্যাও সমাধান করে দিচ্ছেন তিনি। কিছু বিচার সালিশে সময় বেশি নিলেও মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছেন বলে জানা যায়। এলাকার রাস্তাঘাট ইটসলিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি ভূমিকা রাখছেন। গরীব অসহায় মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আছে।

রাজনপুরের কবির মিয়া জানান, তাদের মসজিদের কয়েকবছর আগের সমস্যা সমাধান করে দেন বর্তমান চেয়ারম্যান।

পাবই গ্রামের জয়নাল মিয়া জানান, এই চেয়ারম্যান এর আমলে বিচার পেয়ে শান্তিতে আছি। বালিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন জানান, আমাদের এলাকায় বড় সমস্যা হলেই চেয়ারম্যান ছুটে এসে সমাধান করে দেন।

চান্দগাও গ্রামের স্থানীয়রা জানান, এই গ্রামের মছই মিয়া ২০/৩০ বছর পর জমি ফিরে পায় এই চেয়ারম্যানের কারনে।

কটারকোনা গ্রামের ব্যবসায়ীরা জানান, চেয়ারম্যান দীর্ঘদিনের সমস্যা পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেন না কাটালে এবার কাঁচাবাজার রাস্তায় নিয়ে আসতে হতো।

মনু বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কাদার জন্য বাজার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। চেয়ারম্যান নিজে উদ্যোগে নিয়ে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে দেন। এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যান বাচ্চুর কাছে গিয়ে কিছু না পেলেও শান্তিতে কথা বলা যায়। আর হাত দিয়ে ইশারা দিলে তিনি গাড়ি থামিয়ে কথা শোনেন। উনার কাছে যাওয়ার জন্য কাউকে ধরনা দিতে হয়না। মানুষকে সম্মান ইজ্জত দেন। আমরা চাই চেয়ারম্যান আমাদের যেভাবে সম্মান করছেন আল্লাহ যেনো উনাকেও সেই সম্মান দেয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩০মে ২০১৮/এসএ/এক

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন