সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৪ ২৩:০৮:৫৬
লিনু ফারজানা : ‘আঠারো কোটির দেশের মাত্র আড়াইশো জনকে নিয়ে পর্ণ ভিডিও এমন কিছু নয়।’
মাসে সাতাশি লাখ টাকা বারের বিল এ আর এমন কি?
বাংলা সিনেমার ভিলেন মক্ষিরাণী পাপিয়াপ্পাকে নিয়ে হুদাই ক্যাচাল হচ্ছে।
মিডিয়ার লোকগুলো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পেছনে কেমন বিখাউজের মতো লেগে আছে। একটার পর একটা ঘটনার পোস্টমর্টেম করে, শান্তি নাই।
পাপিয়া আপার লাঠি হাতের এ্যাকশনধর্মী ছবি দিয়া ভাইরাল করে ফেলছেন পুরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বেচারি পাপিয়াপ্পার খানদানি মোঘলাই রক্ত। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নারী।
নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই বেরসিক লোকগুলোর কাছে।
এক আধটু ছড়ি, লাঠি ঘুরাইয়া ছটাবর্দারি করার মধ্যে দোষের কিছু নাই। পদ পদবি ঠিক রাখতে এই রকম একটু করা লাগে।
পাপিয়াপ্পা গো দেখেন, আপনার সঙ্গ স্পর্শে ধন্য লোকগুলো আপনাকে চিনেও না চেনার ভান করছে। মাগনা সুরা আর নারী পেয়েও মন ভরলো না।
‘হাতি লেটলেও ঘোড়া থেকে উঁচা থাকে’, জেনেও আর চুপ থাকতে পারছি না।
পাপিয়াপ্পার জেল জরিমানা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু হাতে কুলুপ এঁটে রাখবো। লাঠি হাতের ছবি দেখিয়া বহুত ডরাইছি আমি।
সর্দারনি পাপিয়াপ্পাদের মূলোৎপাটন করতে হলে তাদের গডফাদারদের গোড়া কেটে শিকড়ে লবণ দিতে হবে। নইলে সেই শিকড়ে আবারো চারা গজাবে। পাপিয়াপ্পাদের পেশার উত্তরাধিকার রক্ষা না হলে নারী ও সুরা প্রেমিক পুরুষদের কি হাল হবে?
লেখক : শিক্ষিকা ও গল্পকার