আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
তাসমিনা :: সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হাজারো অসহায় রোগীর জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল। প্রতিদিন সিলেট ও সিলেটের বাইরের হাজারো রোগী চিকিৎসা সেবার জন্য এই মেডিকেলে আসে।
উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত অবস্থার জন্য সারা দেশে যার সুনাম রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতিটি ওয়ার্ডে শত শত রোগীর সাথে হাজার হাজার ছারপোকা রোগীর প্রতিবেশী হয়ে বাস করছে।
জানিনা আমার এ লেখাটা কতজনের কাছে পৌছাবে, কর্তৃপক্ষ অবধি পৌছাবে কিনা? তবুও লিখলাম, ‘ছারপোকা’ আমি খুব ভয় পাই কয়েকদিন থেকে ওয়ার্ডে কাজ করতে গিয়ে ‘ছারপোকা’ জ্বালায় অদিষ্ট হয়ে ‘ছারপোকা’র ক্ষতিকর দিক জানার ইচ্ছা হলো গুগোল এর মাধ্যমে কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
‘ছারপোকা’ সিমিসিডে গোত্রের একটি ছোট পরজীবী পতঙ্গ যা মানুষ ও অন্যান্য উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট পোষকের রক্ত খেয়ে বেচে থাকে। রক্তখেকো ক্ষুদ্র এই প্রাণী মানুষের শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে। ‘ছারপোকা’ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে বিষ কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করেন। কিন্তু সেই বিষ বা কীটনাশকে ‘ছারপোকা’ মরছে না! বিপদের কথা হচ্ছে—প্রচলিত বিষ ও কীটনাশকের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার সক্ষমতা বাড়ছে এই প্রাণীটির।
তার মানে কি ‘ছারপোকা’র সঙ্গে হেরে যাচ্ছে মানুষ! হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ছারপোকা’র কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও ক্রমাগত কামড় খেলে ত্বকে চুলকানি হতে থাকে।
বোরেল বলেছেন, কোন কীট-পতঙ্গই ক্ষতিকর ছাড়া নেই; এর মাত্রা কম-বেশি হতে পারে। ‘ছারপোকা’র লালার মাঝে এক রকম প্রোটিন আছে যা লাল লাল ফুসকুড়ির সৃষ্টি সহ অন্যান্য এলার্জির সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়া এসব পতঙ্গ মানুষের শরীরে ময়লাযুক্ত একপ্রকার রস নিক্ষেপ করে যা এজমা (হাঁপানি জনিত) রোগের সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়া ‘ছারপোকা’র আক্রমণে এনিমিয়া নামক রক্তশূন্যতার রোগও হয়ে থাকে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য আসে সেখান থেকে অসুস্থ হয়ে যাবে এটা কি যুক্তিসংগত? আমাদের কর্তৃপক্ষ যদি ‘ছারপোকা’ নিদনের ব্যবস্থা করতেন তবে রোগীর বড়ই উপকার হত।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ জুন ২০১৭/টিআর/এসডি