আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এমপি শওকতের জামিনের সময় বাড়লো ৩ সপ্তাহ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-১২ ১২:১৮:৪২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর জামিন টিকিয়ে রাখতে ২৫ কোটি জমা দেওয়ার যে শর্ত হাই কোর্ট দিয়েছিল, তার স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ।

সেইসঙ্গে নীলফামারী-৪ আসনের এই সংসদ সদস্যকে এই সময়ের মধ্যে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলা হয়েছে। রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

শওকতের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা হাই কোর্টের আদেশের কপি এখনও পাইনি। এ জন্য সময় আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।”

গত ২২ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে এমপি শওকতের জামিন বাতিল হবে বলে রায় দিয়েছিল।

এরপর শওকতের আবেদনে গত ২৯ অক্টোবর হাই কোর্টের আদেশ দুই সপ্তাহ স্থগিত করেছিল আপিল বিভাগ। এখন তা আরও তিন সপ্তাহ বাড়ল।

ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৬ সালের ৮ ও ১০ শওকত চৌধুরীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় দুটি মামলা করে।

এর মধ্যে এক মামলায় ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা এবং আরেক মামলায় ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শওকত চৌধুরী তিনটি কোম্পানির নামে ৩৪টি এলসি খুলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি ড. আসাদুজ্জামান, বংশাল শাখার ম্যানেজার হাবিবুল গণিসহ আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।

বর্তমানে ওই অর্থের পরিমাণ সুদে-আসলে বেড়ে ১৩৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন কমার্স ব্যাংকের আইনজীবী সারোয়ার হোসেন।

এ দুই মামলায় গত বছর অগাস্টে হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন শওকত চৌধুরী। পরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবারও জামিন পান।

এ অবস্থায় ওই দুই মামলার অপর দুই আসামি আসাদুজ্জামান ও হাবিবুল গণি জামিনের আবেদন করলে গত বছর ২৪ নভেম্বর তার শুনানিতে হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।

শওকতকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত শওকত চৌধুরীকে জামিন বাঁচানোর জন্য টাকা জমা দেওয়ার শর্ত ঠিক করে রায় দেয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২নভেম্বর২০১৭/ডেস্ক/আআ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন