আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

চট্টগ্রামে ৩ মামলায় আসামি ২০

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৪ ১২:১১:২৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইলে প্রশ্নপত্র পাওয়ায় ১৮ পরীক্ষার্থী ও এক শিক্ষকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।

নগরীর কোতোয়ালী, খুলশী ও ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানায় পরীক্ষার কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলাগুলো করে।

কোতোয়ালি থানার মামলায় ওয়াসা মোড় থেকে বাস চড়ে আসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পটিয়া ক্যাম্পাসের নয় শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষিকাকে আসামি করা হয়েছে।

খুলশী থানার মামলায় পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউট থেকে আটক বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের ছাত্রী দুই বোন ও তাদের বাবাকে আসামি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার এসআই শম্পা হাজারি বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ)/১৩ ধারায় বাওয়া স্কুল কেন্দ্রের সুপার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আইডিয়াল স্কুলের নয় শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষিকাকে আসামি করা হয়েছে।

নগরীর ওয়াসা মোড়ে পরীক্ষার্থী নিয়ে পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম আসা একটি বাসে মঙ্গলবার অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী। এসময় বাসে থাকা পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে ফোনে আসা প্রশ্নের উত্তর মেলানোর সময় সাতটি মোবাইল ফোন ও দুটি খাতা জব্দ করে।

তাদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও পরীক্ষা শেষে ওই বাসে থাকা বিজ্ঞান বিভাগের ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয় এবং মোবাইল ও খাতা পাওয়া নয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়াও তাদের আনা-নেয়ার দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে থুলশী থানায় পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রের সচিব বাদি হয়ে দুই ছাত্রী ও তাদের বাবাকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে জানান এসআই হেলাল উদ্দিন। পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

দুই পরীক্ষার্থী বোনের বাবা পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইল ফোন থেকে প্রশ্ন বের করে উত্তর মেলাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অন্য অভিভাবকরা হৈ চৈ করলে তিনি মোবাইল রেখে পালিয়ে যান।

পরে পরীক্ষার্থী ওই দুই বোনকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করে তাদের বাবা এমরান হোসেনকেও আসামি করে মামলা করা হয়।

এদিকে ফটিকছড়ি হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকা থেকে আটক সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলে জানান ভুজপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ।

ওই সাতজন ফটিকছড়ির বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া জেবুন্নেসা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং চিকনছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়ে ছিলেন ফটিকছড়ির ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মো. শহীদুল হক।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ফেব্রুয়ারি২০১৮/ডেস্ক/আআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন