আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিয়ের ২৬ দিনের মাথায় লাশ হলেন রাজু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২২ ০১:২১:৫৭

বিয়ের মাত্র ২৬ দিনের মাথায় অগুনে পুড়ে লাশ হলেন মাহবুর রহমান রাজু। একই অবস্থা হলো তার ছোট ভাই মাসুদ রানার।

গত ২৮ জানুয়ারি ধুমধাম করে আফরুজা সুলতানা স্মৃতিকে (২৪) বিয়ে করেছিলেন রাজু। ভালোই চলছিল মেয়ের নতুন সংসার। কিন্তু বুধবার রাতের আচমকা আগুনে দুনিয়া ছাড়তে হলো দুই ভাইকে।

রাজুর শ্বশুর আবুল খায়ের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, এই ছিল কপালে! কত আয়োজন করে বন্ধু সাহেব উল্লাহর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাস না যেতেই মা (মেয়ে) আমার বিধবা হলো। ওর সামনে আমি কী করে দাঁড়াব।

চকবাজারেই কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। দেখে শুনেই মেয়েকে রাজুর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আগুনের খবর মোবাইলে পেয়ে ছুটে আসি। কিন্তু দোকানের কাছেই যেতে পারিনি। পরে শুনেছি ওরা আগুনের ভয়ে দোকানেরা সাটার বন্ধ করে দিয়েছিল। আর বের হতে পারেনি। ওখানেই ওরা...!

আবুল খায়ের বলেন, আগুন লাগার আধাঘণ্টা আগেও রাজুর মা দেখা করে গেছে। বেহাই (রাজুর বাবা) টাকা নিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজুরা তিন ভাই। রানা টেলিকম নামে তাদের দোকান ছিল। সেখানে ফোন-ফ্যাক্সসহ মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করতো তারা। ছোট্ট ভাইকে নিয়ে বাবা-মাসহ ঢাকাতেই চুরিহাট্টার পাশের একটা ভবনে থাকতো।

রানা রাজুর বাবা সাহেব উল্লাহর বন্ধু নিজাম উদ্দিন ঢামেক হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নাকাটি করে বলছিলেন, 'নিজের ছেলের মতো ওদের ভালোবাসি। কত স্মৃতি ওদের সঙ্গে। পরিশ্রমী ছেলে দুটা এভাবে মারা যাবে ভাবতে পারছি না। বন্ধু আমার ব্যবসা করতো এখন বয়স হয়েছে। রানা রাজুই ছিল উপার্জনক্ষম। ছেলে দুটা মরে যাওয়ায় বন্ধুর বেঁচে থাকার মেরুদণ্ডই ভেঙে গেল।'

রাজুর লাশ সিরিয়াল ৪০, রানার ১২। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাব। সেখানেই দাফন হবে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন