আজ বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বরিশালে বাস ও মাহেন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ নারীসহ ৬ জন নিহত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২২ ১৪:৪৩:৩৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের তেতুলতলা এলাকায় বাস ও মাহেন্দ্র আলফার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ নারীসহ ৬ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নগরীর বিমান বন্দর থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে একটি মাহেন্দ্র আলফা (থ্রি হুইলার) অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা যাচ্ছিলো। অপরদিকে বানারীপাড়া থেকে সেবা পরিবহনের ব্যানারে দুর্জয় নামে একটি বাস বরিশাল নগরীর দিকে যাচ্ছিলো। তেতুলতলা এলাকা অতিক্রমকালে বিপরীতমুখি বাস ও মাহেন্দ্র আলফার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরও বাসটি না থামিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মাহেন্দ্র আলফাকে চাপা দিয়ে গন্তব্যের দিকে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় জনতা হতাহতদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যতর চিকিৎসক মাহেন্দ্র আলফার যাত্রী নগরীর কাশীপুর এলাকার মো. খোকন (৩০) ও গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহেন্দ্র চালক মো. সোহেল (২৫), ঝালকাঠীর বাসিন্দা বরিশাল বিএম কলেজের গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তর ১ম বর্ষের ছাত্রী শিলা হালদার (২৪), বাকেরগঞ্জের মানিক সিকদার (৪০), দুর্গাসাগর এলাকার পারভীন বেগম (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা এক নারীকে (৫০) মৃত ষোষণা করেন।

আহতদের মধ্যে বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর এলাকার মোকলেছ হাওলাদারের শিশু ছেলে তাইউম (৭), তন্নী আক্তার (১৭), বিএম কলেজ ছাত্র মো. সুমন (২৫), দুলাল হাওলাদার (৩০) এবং অজ্ঞাত এক ছেলে শিশুকে (৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার খবরে হতাহতদের স্বজনরা হাসপাতলে ভিড় করেন। তাদের আহাজারীতে হাসপাতালে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ক্ষুব্ধ স্বজনদের অভিযোগ, দুর্জয় পরিবহন নামে ওই বাসের বেপরোয়া চলাচলের কারণেই প্রাণ গেছে যাত্রীদের। মুখোমুখি সংঘর্ষের পরও বাসটি সেখানে না থামিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মাহেন্দ্র চাপা দিয়ে গন্তব্যে পালিয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। তারা দুর্ঘটনার সকল দায়ভার বাসের চালকের উপর চাপিয়েছেন। স্বজনরা ঘাতক বাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, নগরীর বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যাওয়ায় চালককে প্রাথমিকভাবে আটক করা যায়নি। তবে বাসটি শনাক্ত করে চালক আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন নগরীর বিমান বন্দর থানার ওসি।

সৌজন্যে-বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ মার্চ ২০১৯/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন