সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৫ ১২:৩৪:১১
সিলেটভিউ ডেস্ক :: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রেমের টানে ওমান প্রবাসী এক ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী রাফিনা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় ও সাতবাড়িয়া এলাকায়।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। এ ঘটনায় বর্তমানে দুই পরিবারের মাঝে উত্তেজনাও বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিওড়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জিএম শামিম ফয়সালের (২৫) সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশ্ববর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ীর কন্যা উম্মে রোম্মান নিশাত (২১)। কিন্তু প্রেমের বিষয়টি ছেলে ও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে ছেলের পরিবার ফয়সালকে ওমানে পাঠিয়ে দেয়।
এর কিছুদিন পর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১৮ই অক্টোবর পাশ্ববর্তী লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের পুত্র সৌদি প্রবাসী খচরুল হায়দার আরিফের সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নিশাতের বিয়ে হয়। হায়দার আরিফ সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই বলে জানা যায়।
জানা যায়, দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু বিপত্তি ঘটে সম্প্রতি ওমান প্রবাসী ছেলেটি দেশে ফিরে আসায়। প্রেমিক ফয়সাল গোপনে দেশে এসে পূর্বের প্রেমিকার (নিশাত) সাথে যোগাযোগ শুরু করে। যোগাযোগের এক পর্যায়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে গত বুধবার (৮ মে) পালিয়ে যায়। সাথে ৩ বছর বয়সী মেয়েটিকেও নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিশাতের শাশুড়ি খোদেজা আক্তার চৌধুরী (৫৫) বাদী হয়ে পুত্রবধূ ১) উম্মে রোম্মান নিশাত, ২) গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (নিশাতের বাবা), ৩) আফসার বেগম (নিশাতের মাতা), সর্বসাং- ছোট সাতবাড়িয়া, চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা’কে বিবাদী করে এবং প্রেমিক জিএম শামিম ফয়সাল, পিং- আব্দুল কাদের, সাং- কান্দিরপাড়, চিওড়া’কে দায়ী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ নং- ৯৩০/১৯।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪-৫ মাস পূর্বে নিশাত কন্যাসহ বেড়ানোর কথা বলে পিতার বাড়িতে চলে যায়। গত ৫-৭ দিন পূর্বে পুত্রবধূকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা বললে ১নং ও ২নং বিবাদী কয়েকদিন পরে যাবে বলে জানায়। এর মধ্যে শোনা যায় পূর্বের প্রেমিক শামিমের সাথে নিশাত তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিশাতের শাশুড়ি আরও জানায়, বিবাহের পর থেকেই স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিশাত পূর্বের প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করতো।
তিনি আরও জানান, বয়স কম, বুঝ হলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এ ধারণায় মেয়েটির উপর কঠোরতা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু দিনের পর দিন তাদের যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহেরও সৃষ্টি হয়। পুত্রবধূ নিশাত পিত্রালয় সাতবাড়িয়ায় গেলে ফয়সালের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো এবং নিয়মিত ফোনে কথা বলতো। এসব ঘটনায় আমার ছেলে দেশে এসে ফয়সালের সাথে নিশার কথোপকথনের কললিস্টও বের করে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি না করতে বিবাদীগণ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হুমকি–ধমকি প্রদান করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাছির উদ্দিন জানান, গৃহবধুর পলায়নের প্রেক্ষিতে এবং নাতনির সন্ধান চেয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা গৃহবধু ও কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৌজন্যে : আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৫ মে ২০১৯/গআচ