Sylhet View 24 PRINT

অর্থ পাচার ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার : অর্থমন্ত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৬ ১৬:৩৯:৫০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ব্যাংক ব্যবস্থা এবং আমদানি-রফতানির আড়ালেই অর্থ পাচার হয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে সকল আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিং করা হবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে যারা ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জরিমানার পাশাপাশি মামালা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের অর্থ পাচার মূলত ব্যাংক ও এনবিআর এই দুই জায়গার মাধ্যমে হয়। এর বাইরে বড় আকারে মানি লন্ডারিংয়ের ব্যবস্থা নেই। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি-রফতানির মাধ্যমে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার মধ্য দিয়ে অর্থ পাচার হয়। আমদানি-রফতানির মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে আমরা শতভাগ স্ক্যানারের ব্যবস্থা করছি।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া ওভার প্রাইসিং আর আন্ডার প্রাইসিং রোধে পিএসআই’র আদলে এনবিআরে একটি সেল খোলা হবে। তারা নেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পণ্যের দাম জানবে। তারপর তারা রিপোর্ট করবে। ওই দামের চেয়ে ঊনিশ-বিশ হলে সমস্যা থাকবে না। তবে বেশি পার্থক্য থাকলে সেসব পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে। এখানেই শেষ নয়, যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে এখন তাদেরকে শুধু জারিমানা করা হয়। আগামীতে জারিমানার পাশাপাশি আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তারদেরক কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন এ দুটোই রোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন- আমরা আর দুর্নীতি চাই না। মানি লন্ডারিংও একটা দুর্নীতি। আর দুর্নীতির অর্থই সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয়। সুতরাং এ দুই ক্ষেত্রকেই না করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করার জন্য যেখানে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু হয় এমন তথ্য থাকলেই বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে দেয়া হবে। একই সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, এর আগে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক বছরে তিনটা হতো। এখন থেকে চারটা বৈঠক হবে। বৈঠকে পর্যালোচনা হবে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো কতটা বাস্তবায়ন হলো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কেউ দেশের ক্ষতি করে, জনগণের ক্ষতি করে পার পেয়ে যাক-এটা আমরা চাই না। সবাই ব্যবসা-বণিজ্য করতে পারবে। তবে কাউকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে দেয়া হবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’

তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত আইনগুলো অনেক আগেই করা হয়েছে তখন মানি লন্ডারিং ও টেররিস্ট ফাইন্যান্সিং বিষয়ে কিছু ছিল না। সুতরাং আইনগুলোর সংস্কার করব।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং হোক আর যাই হোক, এদেশে বিদেশি বেশকিছু কোম্পানি কাজ করে। বিদেশি কোম্পানি এককভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। কারন এককভাবে বিদেশি কোম্পানি কাজ করে এমন কোম্পনি থেকে আমরা রাজস্ব পাই না। তাই বিদেশি কোনো কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে তাদেরকে বাংলাদেশের কোনো কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। অন্তত আমরা যেন অর্ধেক রাজস্ব পাই।’



সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৬ মে ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.