আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এবার চাঁদ দেখতে যন্ত্র কিনবে ধর্ম মন্ত্রণালয়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১০ ২১:২০:৫৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দেশের সব মসজিদে জুমার খুতবা দেওয়ার আগে মাদক-ইয়াবার ভয়াবহ পরিণতি এবং জঙ্গীবাদ সম্পর্কে বয়ান করে ধর্মীয়ভাবে জনগণকে সচেতন করতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া আসন্ন হজের সময় হাজিরা যাতে কোনভাবে হয়রানির শিকার না হয় এ বিষয়ে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, চাঁদ দেখতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র কিনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ঈদুল ফিতরের আগে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংসদ ভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশের পর এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী। কমিটির সদস্য শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, এইচ এম ইব্রাহিম, মোসা. তাহমিনা বেগম এবং বেগম রত্না আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন এবারের ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা নিয়ে কেন রাত ১১টার পর আবার দ্বিতীয়বার ঘোষণা দিতে হল? অথচ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি গত ২৯ রমজান প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিল দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ঈদ হবে ৬ জুন। কমিটির সদস্যদের এই প্রশ্নের জবাব দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান। তিনি জানান, চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ৪০-৪৫ জন আলেমের পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমবার দেওয়া ঘোষণার আগে দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তখন আলেম-ওলামারা মত দেন সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ার সঙ্গে এ দেশের ঈদের সম্পর্ক নেই। দেশে চাঁদ দেখা যেতে হবে। এ কারণে প্রথম ঘোষণা আসে। পরবর্তীতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি চাঁদ দেখতে পেয়েছেন জানার পর দ্বিতীয় ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে হাজী ক্যাম্পের সিটসহ অন্যান্য সমস্যা, ফ্লাইটের সিডিউলের সমস্যা এবং সৌদিতে যাওয়ার পর সৃষ্ট সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তা দ্রুত নিরসনের সুপারিশ করে কমিটি। কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষ করে চলমান দেশের প্রায় ১৮০০টি মন্দির, শ্মশান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের যাচাই প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সৌজন্যে : বিডি-প্রতিদিন

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১০ জুন ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন