আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

অবৈধ আয় দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ডিআইজি মিজান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৩ ১২:০০:৪৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রাজধানীর বেইলী রোড ও কাকরাইলে বিলাসবহুল দুই ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়েই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান ডিআইজি মিজানুর রহমান।

এর মধ্যে বেইলী রিজের ফ্ল্যাটটি ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ও কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটটি ভাগিনা এসআই মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে।

দু’জনের নামেই আলাদা ট্যাক্স ফাইলও রয়েছে। কিন্তু তাদের বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ফ্ল্যাট দুটি ডিআইজি মিজানের অবৈধ আয় দিয়ে অর্জিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মিজান নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এর অধিকাংশের সঙ্গেই তার আয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই।

জানা গেছে, ডিআইজি মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে একটি ছোট ওষুধের দোকান পরিচালনা করেন। আর ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নোমান রাজধানীর একটি থানায় সম্প্রতি শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করে এসআই হিসেবে পোস্টিং পেয়েছেন। তাদের নামে যে সম্পদ দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গেও দু’জনের আয়ের কোনো মিল নেই।

দুদক সূত্র জানায়, খন্দকার এনামুল বাছিরের দেয়া অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, মিজানুর রহমান আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, তার মোট ২ কোটি ৭ লাখ ৩৫ হাজার ২২২ টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার ২৬০ টাকা স্থাবর ও ৯৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৬২ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকার স্থাবর এবং ৪০ লাখ টাকার অস্থাবরসহ ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকার সম্পদ রয়েছে। ভাগিনা পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার ৮০ টাকার স্থাবর সম্পদ ছাড়াও ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ টাকার অস্থাবরসহ ১ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।

এতে ডিআইজি মিজানের নিজ নামে এবং ভাই-ভাগিনার নামেসহ সর্বমোট ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। বিভিন্ন খাত থেকে ডিআইজি মিজানের আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা। ব্যয় পাওয়া যায় ৮৫ লাখ ১২ হাজার ৩৪৭ লাখ টাকা। তার সঞ্চয় দাঁড়ায় ২ কোটি ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯১৮ টাকা।

বিশ্বাসযোগ্য উৎস দেখাতে না পারায় ছোট ভাই এবং ভাগ্নের নামের থাকা দুটি ফ্ল্যাট, দান করা ৪০ লাখ টাকা এবং এফডিআর ডিআইজি মিজানের অর্থে কেনা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এসব সম্পদ বিবেচনায় নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ডিআইজি মিজানের ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে মিজান ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়।

তাই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা ও মানি লল্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেন খন্দকার এনামুল বাছির।

দুদক সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার আয়-ব্যয় ও সম্পদের বর্ণনা তাদের আয়কর নথিতে প্রদর্শিত আছে। তাদের দুই সন্তান আবরার ফাহিম রহমান অর্ণব (২১) ও আবরার ফাহাদ রহমান অনিক (১৯) কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত।

ছেলেদের নামে আয়কর কোনো নথি নেই। এমনকি তাদের কোনো সম্পদও নেই বলে ডিআইজি মিজান জানিয়েছেন। এমনকি ভাগিনা কোতোয়ালি থানার এসআই মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডের ৬৩/১ নির্মাণ সামাদ সেন্টার নামে বাণিজ্যিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১৯১৯ বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট সম্পর্কে তিনি অবহিত নন বলে জানান ডিআইজি মিজান।

এছাড়া বেইলী রোডের ১ বেইলী রিজ নামে আবাসিক ভবনের এম-৪নং ফ্ল্যাটটিও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের, যা তার আয়কর নথিতে উল্লেখ আছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ পাঠিকাকে ১২ লাখ টাকা লোন দেয়ার কথা দুদকে স্বীকার করেন মিজান।

দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের এ বক্তব্য দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে বাছির প্রতিবেদনে বলেন, ডিআইজি মিজান স্ত্রী, ছোট ভাই ও ভাগিনার নিজস্ব আয় আছে। তারা আয়করও দেন।

তাদের সম্পদ তার নামে যুক্ত করার সুযোগ নেই মর্মে ডিআইজি মিজান দাবি করলেও ভাই স্বপন এবং ভাগিনা নোমান সম্পদ অর্জনের গ্রহণযোগ্য উৎস দেখাতে পারেননি। তাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কোটি টাকা দেয়ার মতো কেউ নেই।

অন্যদিকে ২০০৩-২০০৪ কর অর্থবছরে ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নোমান যখন আয়কর নথি পরিচালনা করেন, তখন তার বয়স ১৩ বছর। ওই অর্থ বছরে নগদ এক কোটি টাকা সম্পদ দেখিয়ে তা থেকে ২০১৬ সালে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকায় কাকরাইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কেনেন।

বাকি টাকা মাহমুদুল হাসানের নামে এফডিআর করা হয়। এছাড়া কিছু অর্থ অন্যান্য কাজে ব্যয় করেন। এ সম্পদেরও বিশ্বাসযোগ্য উৎস নেই। স্ত্রীর নামে আলাদা অভিযোগ অনুসন্ধানে থাকায় এ প্রতিবেদনে তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। জনৈক সংবাদ পাঠিকাকে দেয়া ১২ লাখ টাকা ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এদিকে ডিআইজি মিজানের ছোট ভাই স্বপন দুদককে দেয়া বক্তব্যে জানান, মেহেন্দীগঞ্জের সদর হাসপাতালের সামনে ওষুধের ব্যবসা করেন। সেখানে দৈনিক ২৫-৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়।

হাটের দিন ৫০-৫৫ হাজার টাকা বিক্রি করেন। তিনি ওষুধের ব্যবসা ছাড়াও অন্যান্য রাখি ব্যবসার আয়ের সঞ্চয় থেকে বেইলী রোডের ৫৫ লাখ ৫১ হাজার টাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন। গ্রামে বাড়ি নির্মাণের সময় তিনি ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা দান করেন।

সূত্র জানায়, স্বপনের এই বক্তব্যের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছির দ্বিমত পোষণ করেন। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার মন্তব্য হচ্ছে মেহেন্দীগঞ্জের বিচ্ছিন্ন একটি এলাকার ফার্মেসির আয় থেকে স্বপনের পক্ষে প্রায় ৫৬ লাখ টাকায় (দলিল মূল্য) বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা ছাড়াও ডিআইজি মিজানকে ৪০ লাখ টাকা দান করা সম্ভব নয়।

তিনি ওষুধ ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখাতে পারেননি। রাখি ব্যবসার আয়েরও কোনো হিসাব নেই। তার সম্পদ আসলে মিজানুর রহমানের অবৈধ আয় থেকে অর্জিত। এ সম্পদ মিজানুর রহমানের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হল।

ডিআইজি মিজানের ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নোমানের জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, নোমানের জন্ম ১৯৯০ সালে। তিনি ২০১৬ সালের ১৬ জুন রেজিস্ট্রেশন খরচসহ ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকায় কাকরাইলে ১৯১৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনেছেন। ২০১৬ সালেই তিনি এসআই হিসেবে যোগদান করেন।

২০০৩-২০০৪ কর অর্ধবছর থেকে ১৩ বছর বয়স থেকেই ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর দিচ্ছেন। তিনি ওই করবর্ষে রিটার্নে এক কোটি টাকা ব্যবসাবহির্ভূত সম্পদ দেখান। আয়কর ফাইলে ওই প্রদর্শিত অর্থ থেকে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকায় কাকরাইলে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কেনেন। বাকি টাকা এফডিআর করেন।

ভাগিনা এসআই নোমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছির। সূত্র জানায়, এ বিষয়ে তিনি বলেন, নোমানের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ২০০৩-০৪ করবর্ষে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত এক কোটি টাকার উৎস্য সম্পর্কে নোমান সদুত্তর দিতে পারেননি।

তিনি এই টাকা তার দাদা ও বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন বলে মৌখিকভাবে জানান। তার আত্মীয়স্বজনের মধ্যেও কোটি টাকা দেয়ার মতো কেউ নেই। কাকরাইলের ফ্ল্যাট ও এফডিআর আসলে মিজানুর রহমানের অবৈধ আয় দিয়ে অর্জিত। এই সম্পদ মিজানুর রহমানের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হল।

জনৈক সংবাদ পাঠিকাকে দেয়া ১২ লাখ টাকা মিজানের ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ওই সংবাদ পাঠিকা বর্তমানে লন্ডনে আত্মগোপনে আছেন। ডিআইজি মিজানের অব্যাহত হুমকির কারণে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়াই লন্ডনে চলে যান।

ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে ওই সংবাদ পাঠিকা যুগান্তরকে বলেছেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা। তিনি বলেন, আমি ঢাকায় থাকাবস্থায় এ বিষয়ে ডিআইজি মিজান লিখিত দিয়ে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তখন ডিআইজি মিজান বলেছিলেন নিজের আত্মরক্ষার্থে এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।’

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখানো মিজানের যত সম্পদ : বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানুর রহমান। দুদক প্রতিবেদনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণে দেখা যায়, স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈতৃক সূত্রে তিনি ৫ বিঘা জমি পেয়েছেন।

১৯৯২-৯৩ সালে পুলিশ হাউজিংয়ের ৫ কাঠা জমির পরিবর্তে একটি ফ্ল্যাটের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পূর্বাচল রাজউকের ৫ কাঠা জমির দাম দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা।

২০০৭ থেকে ২০১৭ সালে জোয়ার সাহারায় পুলিশ সমবায়ের ৭.৫ কাঠা জমির মূল্য দেয়া হয় ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৫০ টাকা। ২০১১ সালে গ্রামের বাড়ির জমি কিনেন ৮ লাখ ১৭ হাজার টাকায়। ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত মেহেন্দীগঞ্জের ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণে ৬৯ লাখ টাকা দেখানো হয়।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে উত্তরার পলওয়েলে দোকান কেনা হয় ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪১০ টাকায়। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ছোট ভাই মাহমুদুর রহমানের নামে বেইলী রিজে কেনা ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি মূল্য ৫৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ভাগিনা মাহমুদুল হাসানের নামে কাকরাইলে কেনা বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের দাম রেজিস্ট্রি মূল্য হিসেবে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদের হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সোনালী ব্যংকে জমা ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮০ টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৩ টাকা, সিটি ব্যাংকে জমা ৯ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকা, প্রাইম ব্যাংকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৮২২ টাকা।

১৯৯৮-৯৯ সালে পলওয়েলে শেয়ার কেনা ৭ হাজার ৫০৬ টাকা। ২০০২-২০০৩ সালে জীবন বীমা ৯৮ হাজার ৯১০ টাকা, ২০০৮-২০০৯ সালে ওয়েজ আর্নারস বন্ড ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই অর্থবছরে অয়েজ আর্নারস বন্ড কেনা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন ২ লাখ টাকার। ওই বছরই গাড়ি কিনেছেন মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টাকায়। ২০১০-১১ অর্থবছরে পিস্তল কিনেন ২ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে গাড়ি কেনায় ব্যয় করেন ৮ লাখ টাকা।

২০১৩-১৪তে এফডিআর করেন ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৬ টাকা, ওই একই অর্থবছরে ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হাতে ছিল নগদ ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৮৬৮ টাকা। ১৯৯২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বর্ণালংকার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একই সময়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার ফার্নিচার কেনা হয়।

২০১৩-১৪ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছোট ভাই মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে দান পেয়েছেন ৪০ লাখ টাকা। ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে রাখা ১ কোটি টাকা থেকে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকায় কেনা কাকরাইলের ফ্ল্যাট ছাড়া বাকি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা অস্থাবর সম্পদে দেখানো হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে ডিআইজি মিজানুর রহমান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমি কমিশনের কাছে কোনো অন্যায় আবদার করছি না। আমি ল’ফুললি সাহায্য চাই। আমি আশা করি, তৃতীয় অনুসন্ধানকারী দুদকের কর্মকর্তা কোনো রাগ-অনুরাগের বশবর্তী হয়ে নয়, নিরপেক্ষভাবে এবং স্বাধীন কমিশনের একজন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমার ওপর জাস্টিস আবেদন করবেন।

আপনার নিজের নামে সম্পদ না করে অন্যের নামে করেছেন- এমন অভিযোগই অনুসন্ধান রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে- এর জবাবে ডিআইজি মিজান বলেন, অ্যাপিলেড ডিভিশনের রায় আছে অন্যের সম্পদ আরেক জনের ওপর দায় চাপানো যাবে না। আমার ভাই-ভাগ্নের নামে যে সম্পদ, সেখানে তারা আলাদা আলাদাভাবে টেক্স ফাইল পরিচালনা করেন। তাদের সম্পদ কেন আমার হিসাবে আসবে।

সৌজন্যে : যুগান্তর
 
সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৩ জুন ২০১৯/মিআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন