আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাজেট নিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৩ ১৫:৫৩:৪৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চিরচেনা কালো ব্যাগ নিয়ে সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপরেই সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১১তম বাজেট অধিবেশন।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের বাজেট বই থেকে বক্তৃতা শুরু করার আগে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপনের জন্য স্পিকারের অনুমতি চান অর্থমন্ত্রী।স্পিকার অনুমতি দিলে প্রামাণ্যচিত্রটি উপস্থাপন করা হয়।

শুরুতেই মাল্টিমিডিয়া প্রজেকশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়।

এর আগে সংসদের বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’- শিরোনামের এবারের বাজেট শুধু এক বছরের জন্য নয়, তৈরি করা হয়েছে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে। তবে এ বাজেট সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সরকারকে মুখোমুখি হতে হবে নানা প্রতিকূলতার।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রবৃদ্ধিতে অসমতা, বিনিয়োগ সংকট, সুশাসনের ঘাটতি, ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা, অর্থনীতির আকারে রাজস্ব আদায় কম, বৈদেশিক লেনদেন ঘাটতি।

তবে এসব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রবৃদ্ধিকে আগামী তিন বছরে ৮ দশমিক ৬ শতাংশের ঘরে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিশাল ব্যয়কে মেলাতে গিয়ে উচ্চ রাজস্ব আদায়ের হিসাবও করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, তিনি ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চান ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধিকে টেনে নিতে চান ৮ দশমিক ৬ শতাংশে।

আজ জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে, এর সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ ব্যয় মেটাতে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ আয় হবে তিন লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।

আয় ও ব্যয়ের ফারাক ঘাটতি থাকবে (অনুদানসহ) এক লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া এ ঘাটতির পরিমাণ হবে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।



সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৩ জুন ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন