আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

১ হাজার ৭৭২ চিকিৎসকের পদ শূন্য: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-২৩ ১৮:৫২:২৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশের সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও লেকচারার অনুমোদিত পদ ৩৮২৯টি। এসব পদের বিপরীতে শূন্যপদ রয়েছে ১ হাজার ৭৭২টি। এসব পদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, ডায়াগনসিসের ৪০ ভাগ কমিশন চিকিৎসক নেন, এটা কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা হতে পারে। তবে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মো. মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে দেশের মেডিকেল কলেজসমূহে পাঠদানের জন্য শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনে সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

স্পিকারের ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩) ও এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের পরিকল্পনা আছে।

মো. হাবিবর রহমানের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গ্রামীণ জনপদে পল্লী ডাক্তারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

কে এম রহমতুল্লাহর (ঢাকা-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য সরকারি ব্যয়ে ডাক্তারদের বিদেশ পাঠানোর বিধান আছে।

দেশে মেডিকেল কলেজ ১১২টি
আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর (রংপুর-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১১২টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৬টি, বেসরকারি ৭০টি ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ০৬টি। তিনি আরও জানান, সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে আসন সংখ্যা ৪০৬৮টি, বেসরকারিতে ৬২৩১টি এবং সেনাবাহিনীতে ৩৭৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

দেশে 'এ' গ্রেডের ফার্মাসিস্ট ১৫ হাজার ২১ জন
মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে এ, বি ও সি গ্রেডের ফার্মাসিস্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে। তবে, এ গ্রেডের ১৫০২১, বি গ্রেডের ১৬৪৮৯ ও সি গ্রেডের ১০৭৪০০ জন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট রয়েছে। ১৩টি পাবলিক ও ২৮টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগ চালু রয়েছে। এখান আগামীতে এ গ্রেডের ফার্মসিস্ট পাওয়া যাবে।

প্রজনন হার বর্তমানে ২.০৫ শতাংশ
মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০-৭৫ সাল পর্যন্ত প্রজনন হার ছিল ৬.৯১, যা বর্তমানে ২.০৫। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালে পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহারের হার ছিল ৭.৭ শতাংশ, যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬২.৪ শতাংশ। ২০২২ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৭৫ শতাংশ উন্নীত হবে। এতে মোট প্রজনের হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।


সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২৩ জুন ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন