আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এবার গলা কাটল পাঁচ বছরের শিশুর, ছেলেধরা গুজব

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৯ ২০:১৬:২৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মিজানুর রহমান নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর গলা কেটে জখম হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভোর হতেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে গলাকাটা গুজব।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সূর্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মিজানুর রহমান ওই গ্রামের আতিকুর রহমান মিঠুনের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে বাগমারার সূর্যপাড়া গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারাল কিছুর দ্বারা মিজানুর রহমান নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর গলার একটি অংশ কেটে জখম করা হয়।

রাতেই আহত শিশু মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি রামেক হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে শিশু মিজানের বাবা মিঠুন, মা ফিরোজা বেগম ও দাদি রেখা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গরমের কারণে ঘরের দরজা খোলা রেখে নাতি মিজানকে নিয়ে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন দাদি রেখা খাতুন। মিজানের বাবা মা ছিলেন খাটের ওপর।

তারা জানান, গভীর রাতে একজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় টের পেয়ে মা ফিরোজা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে শো-কেসের কাঁচ ভেঙ্গে শিশু মিজানের গলার ওপর পড়ে। এতেই মিজানের গলার বাম দিকের একটি অংশ কেটে রক্তাক্ত জখম হয়।

চিৎকার ও হৈচৈ শুনে প্রতিবেশিরা এসে মিজানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধস্তাধস্তির পর লোকটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাতেই খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে শিশু মিজানের গলা কেটে রক্তাক্ত জখম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেন।

মিজানের বাবা মা ও দাবির জবানবন্দি নেন। প্রতিবেশিদের সঙ্গেও কথা বলেন ওসি।

তিনি বলেন, ঘটনার পর ঘরের মেঝেতে শো-কেসের ভাঙ্গা কাঁচের কিছু টুকরো দেখতে পান। বিষয়টি কীভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে ঘরে কেউ ঢুকেছিল এ কথাও মিজানের পরিবারের লোকেরা বলেছে পুলিশকে।

অন্যদিকে শুক্রবার ভোর হতেই শিশু মিজানের গলা কেটে জখম হওয়ার খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কেউ কেউ এলাকায় ছেলেধরার আবির্ভাব ঘটেছে বলে গুজব ছড়াতে শুরু করেন। এ বিষয়ে গুজব না ছড়াতে সবাইকে সতর্ক করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম বলেন, শিশু মিজানের ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে কেউ ছেলেধরা গুজব যাতে ছড়াতে না পারে তার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কেউ গুজব ছড়ালে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

শিশু মিজানের গলা কেটে জখমের ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৯ জুলাই ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন