Sylhet View 24 PRINT

এনামুল বাছিরের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-২৩ ১৬:২১:০৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা ২৬ মিনিটে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে বেলা ২টার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর আদালতে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

এর আগে সোমবার রাতে তাকে রাজধানীর দারুসসালাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের তদন্ত টিমের প্রধান শেখ মো. ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি টিম সোমবার রাত ১১টার দিকে মিরপুরে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রাতেই তাকে রমনা থানাহাজতে হস্তান্তর করা হয়।

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বাছিরসহ পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই মামলা করে দুদক। ফরেনসিক পরীক্ষায় ঘুষ লেনদেন নিয়ে তাদের কথোপকথনের অডিওর সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মিজান কিছু দিন আগে গ্রেফতার হলেও বাছিরকে গ্রেফতারে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর শাজাহানপুর ও আজিমপুরে তিন দফা অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির ঘুষগ্রহণ করেছেন, এটি অডিও রেকর্ডে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই ঘুষ দেয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। দুদক মনে করছে, এর মাধ্যমে মিজান নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দুজনই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়েছেন, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫(১), ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) (ক্ষমতার অপব্যবহার) ধারায় অজামিন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মিজান দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন। ঘুষ লেনদেন মামলায় এবার সাময়িক বরখাস্ত এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করল দুদক। মামলা করার আগেই বাছিরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। ১০ জুন দুদকে হাজির হয়ে তার ঘুষের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেদিন এ ব্যাপারে কোনো মতামত দেননি।

সূত্র আরও জানায়, দুজনের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম। ১৫ দিন কাজ করে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই টিম।

দুদকের মামলার এজাহারের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় এনামুল বাছিরকে। ওই অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় ৯ জুন ডিআইজি মিজান ওই অনুসন্ধান থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। এর পর পরই দুদকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে খন্দকার এনামুল বাছিরের বক্তব্য গ্রহণ করে এবং পারিপার্শ্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায়। এর পর ১৩ জুন পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২৩ জুলাই ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.