আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

শরীরে এখনও স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা তথ্যমন্ত্রীর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২১ ১৯:২০:৫২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী আজ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত পৈশাচিক এ হামলায় সেদিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।আহত হন অনেকে।

আহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দৃশ্য এটি, আমি গুরুতর আহত। আমাদের দলের দুই নারী নেত্রীর সহায়তায় কোনোভাবে একটি বাসে উঠেছিলাম। সেদিন আমার জীবন রক্ষা করার জন্য তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

‘যখন আমি হাসপাতালের পথে তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মনে হচ্ছিল আমার সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি আর এক ঘণ্টা দেরি হতো তাহলে সেদিন অন্যকিছু হয়ে যেতে পারতো। এখনও আমার শরীরের নিচের অংশে ৪০টি স্প্লিন্টার আছে।’

ছবিতে দেখা যায়, গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ রক্তাক্ত, লাল হয়ে গেছে পরনের শার্ট। দলের দুই নারী নেত্রীর কাঁধে ভর দিয়ে হাসপাতালের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

জানা গেছে, ড. হাছান মাহমুদের সাহায্যে এগিয়ে আসা সেই দুই নারী নেত্রীর একজন বরিশাল-২ (বানারিপাড়া ও উজিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা।

এক আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলার দায় বেগম জিয়া এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, ‘ওইদিন যখন প্রথম গ্রেনেডটি ব্লাস্ট হয়, আমি ভেবেছিলাম গাড়ির টায়ার চলে গেছে হয়তো, এরপর দ্বিতীয় গ্রেনেড যখন ব্লাস্ট হয় তখন আমার মনে হচ্ছিল, আমার পিঠে অনেকগুলো পিঁপড়ে কামড় দিলে যেমন হয়, সেরকম অনুভূত হচ্ছিল। দৌড়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে আশ্রয় নেই। আর হাঁটতে পারছিলাম না, দেখলাম শরীরে অনেক রক্ত। প্রথমে মানুষ আহত হলে বুঝতে পারে না, যখন হাঁটতে পারলাম না তখন বুঝলাম আমি অসুস্থ।’

‘আমাদের আহতদের একটি মিনিবাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন বাস জ্যামে পড়ে, সেসময় মনে হচ্ছিল আর বাঁচবো না। যখন হাসপাতাল দেখতে পেলাম, মনে হল আশা ফিরে পেলাম। গিয়ে দেখি, সেখানে কোনো ডাক্তার নেই। বরং যারা আমাদের সাহায্য করতে আসছিল, তাদের লাঠিচার্জ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।’

সৌজন্যে : বাংলানিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ আগস্ট ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন