আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সভাপতির গাড়িতে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতির মারামারি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১০ ১৬:৩৭:৪৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের ব্যক্তিগত গাড়িতে বসা নিয়ে তার অনুসারি দুই সহ-সভাপতির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজনই আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

মারামারি করা ওই দুই নেতা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির। এদের মধ্যে শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের একটু ওপরে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন দুপুর দেড়টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে গাড়িতে ওঠেন। একই সাথে তার গাড়ির পেছনের সিটে তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, সহ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরো কয়েকজন উঠে বসেন। পরে সহ সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ গাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। জায়গা না থাকায় তিনি গাড়িতে উঠতে পারেননি। এই নিয়ে গাড়িতে বসা জহিরের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে শোভন গাড়িতে থাকা সবাইকে নেমে যেতে বলেন। তারা নেমে গেলে শোভন গাড়ি নিয়ে একটু সামনে এগোলে ওই দুইজন নেতার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ এবং জহির একে অপরকে বাঁশ ও ইটের টুকরো দিয়ে আঘাত করেন। এতে তারা দুইজনই আহত হন। তাদের শান্ত করতে গেলে আল নাহিয়ান খান জয়ও আঘাত পান। তবে তিনি বেশি আহত হননি। পরে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই নেতাকে নিবৃত্ত করেন।

এ বিষয়ে শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের মধ্যে আদর্শগত বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। গাড়িতে বসা নিয়ে কোনো মারামারি হয়নি।'

আদর্শগত দ্বন্দ্বের জন্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহির ইট দিয়ে আঘাত করে বিদ্যুতের চোখের বাম চোখের ওপরে কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগও করেন তিনি ।

তিনি বলেন, সপ্তাহ খানেক সময় ধরে ওদের সিন্ডিকেটের সাথে আমাদের মতানৈক্য ও বিরোধ চলে আসছিল। আজ মধুর ক্যান্টিনে এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহির আমার শার্টের কলার চেপে ধরে। তখন আমিও ওর জামার কলার চেপে ধরি। এক পর্যায়ে জহির ইট দিয়ে আঘাত করে আমার কপাল ফাটিয়ে দেয়। এসময় জহিরের এক ছোট ভাইয়ের হাতে বাঁশ ছিল বলে অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহ সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তিনি (বিদ্যুৎ) যদি অভিযোগ করে থাকেন তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে দাবি করেন।

রেজওয়ানুল হক শোভন বলেন, তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। আগে থেকেই তাদের সম্পর্ক খারাপ ছিলো। এজন্য একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে।

আহত বিদ্যুৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সৌজন্যে : পূর্বপশ্চিম
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন