Sylhet View 24 PRINT

ভাগ্য বদলাতে সাপের মাথায় কষ্টিপাথর ছুঁয়ে খেলা শুরু হতো ক্যাসিনোতে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১৯ ২১:২৩:১৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রাজধানীতে বুধবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, শাহজাহানপুরের মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও বনানীর আহমেদ টাওয়ারের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাদক, জাল টাকা, বিপুল পরিমাণ টাকা ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

তিনটি ক্লাব থেকে অন্তত ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণীও রয়েছেন। তবে অন্যান্য ক্যাসিনোর চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের ক্যাসিনোটা একটু ব্যতিক্রম।

যেখান থেকে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। এ ক্যাসিনোর বিষয়ে র‍্যাবের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেমন যেন গা ছমছম পরিবেশ। সাজসজ্জা দেখলে মনে হয় কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি এ ক্যাসিনোটা নিয়ন্ত্রণ করেন।

তবে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। গেইটে লেখা ‘রে‌স্ট্রি‌কটেড এরিয়া’ (সংরক্ষিত এলাকা)। ভেতরে উঁকি মারতেই দেখা গেল, এক কোণায় এক টুকরা সাপের মাথা ও কষ্টিপাথর।

এক জুয়াড়ির বরাত দিয়ে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিন আয়োজন করে সাপের মাথায় কষ্টিপাথর ছুঁয়েই জুয়া খেলা শুরু হতো। জুয়া‌ড়িদের আকৃষ্ট করতে ও হার‌জিত নির্ধারণে না‌কি এসব কাজে দেয় বলে ক্যাসিনো গুজব রয়েছে।

একটু সামনে এগিয়ে যেতেই একটি ভিআইপি কক্ষ। কক্ষের ভেতর বড় চেয়ারটিতে বাঘের মাথার ছবির একটি তোয়ালে দেয়া। একটু কাছে যেতেই দেখা গেল তার ওপর হরিণের চামড়ার টুকরো বি‌ছানো।

র‌্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু র‌্যাব সদস্যরা ক্লাবের আশপাশে তন্নতন্ন করে খুঁজে তাদের আটক করেন। ক্যাসিনোটি সিলগালাসহ এখান থেকে আটক ৪০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে মাদক, নগদ অর্থ, কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

ক্যাসিনো নিয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তাদের কারও কোনো পরিচয় দেখব না।

যিনি অপরাধ করবেন তাকেই অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ক্যাসিনোতে একজন বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। তাকে আমরা আজ পাইনি।

আমরা তার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। তিনি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবৈধভাবে কোনো বিদেশি এখানে কাজ করতে পারবেন না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সারোয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্যাসিনো চলছিল। রাজধানীতে আরও যেখানে ক্যাসিনো চলছে সেগুলোর বিষয়েও গোয়েন্দা তথ্য নেয়া হচ্ছে।

সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সব ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই।


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.