Sylhet View 24 PRINT

টেকনাফ বন্দরে পচছে মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-০৯ ২১:০০:১৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাসের আগেই ট্রলারে পচে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার পেঁয়াজ আমদানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও টেকনাফ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাসে যে ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার কোনোটিই নেই। পর্যাপ্ত জেটি ও শ্রমিকের অভাবে মূলত ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বন্দরে নোঙ্গর করার দুই-তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার টেকনাফ স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পচা পেঁয়াজের গন্ধে বন্দরের বাতাস ভারি হয়ে গেছে। এ ছাড়া খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে ৮টি পেঁয়াজবাহী ট্রলার নোঙ্গর করা রয়েছে।

আমদানিকারক এএফ এজেন্সীর স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম জানান, খালাস করতে দেরি হওয়ার কারণে মঙ্গলবার তার ট্রলারের আমদানিকৃত ৮০০ বস্তা পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সে সব পেঁয়াজ থেকে ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে কোনোরকমে লোকসান কমানোর চেষ্টায় আছেন। একই অবস্থা অন্য ব্যবসায়ীদেরও।

এই দীর্ঘসূত্রতার পেছনে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানান, সময়ক্ষেপণ করে ট্রাকে লোড করা পণ্য বিকাল ৫টার পর স্কেলে তোলা গেলে একেকটি ট্রাক থেকে নাইট চার্জ হিসাবে বন্দরের অতিরিক্ত আয় হয় সাড়ে ৫ হাজার টাকার মতো। এটাও দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে জানান তিনি।

তবে জেটি ও শ্রমিকের অভাবের কথা অস্বীকার করে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, দুটি জেটি দিয়ে দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। মূলত মিয়ানমার থেকেই পচা পেঁয়াজ আসছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গত সোমবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৭৯.৩৩৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়েছে।


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ অক্টোবর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.