পাঁচ দিনের রিমান্ডে ক্যাসিনো সেলিম

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দেশে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুই সহযোগী হলেন আক্তারুজ্জামান ও রোকন। রাজধানীর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন  ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।

এর আগে গত বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের আবেদন করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২ অক্টোবর সেলিম প্রধান ও তাঁর সহযোগীদের আসামি করে রাজধানীর গুলশান থানায় দুটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। একটি মানি লন্ডারিং আইনে, অন্যটি মাদক আইনে। মানি লন্ডারিং মামলায় সেলিমসহ আটজনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার তিন নাগরিকও রয়েছেন। মাদক আইনে করা মামলায় সেলিমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মানি লন্ডারিং আইনের মামলার অন্য আসামিরা হলেন সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী রোমান, সীমান্ত রনি, শান্ত, আক্তারুজ্জামান, উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মি. তু, লি ও লিম। মাদক মামলায় সেলিমের সঙ্গে রোমান ও আক্তারুজ্জামানকে আসামি করা হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনা হয় সেলিম প্রধানকে। ওই রাতে গুলশানের ২ নম্বর এভিনিউর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১/এ নম্বর বাড়ি এবং পরের দিন ১ অক্টোবর দুপুরে বনানীর ২ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাড়িতে সেলিমের বাসা-কাম-অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এসব অভিযানে ২৯ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের আট কোটি টাকার ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে সেলিমকে কারাগারে পাঠান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ অক্টোবর ২০১৯/মিআচৌ