আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গুজব হলেও সত্য, পাঁঠার দুধে রোগমুক্তির জাদু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২২ ১৪:৪২:০৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: গুজব বা রূপকথার মতো কাহিনী হলেও সত্য জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোলান রশিদপুর এলাকায় ছাগীর ন্যায় পাঁঠাও দুধ দেয়। পাঁঠার অণ্ডকোষের পাশাপাশি দুটি বাট আছে, আর তা থেকেই প্রতিদিন হাফ লিটার দুধ সংগ্রহ করেন পাঁঠা মালিক লাল বাবু।

আজব এ ঘটনা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নারী-পুরুষ দলবেঁধে এলেও এখন আসছে দাওয়াই হিসেবে পাঁঠার একটু দুধ নেয়ার জন্য।

তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, হরমোনজনিত কারণে এ রকম হতে পারে।

লাল বাবু উপজেলার মোলান রশিদপুর গ্রামের শ্বশধর সরকারের ছেলে।

পাঁঠা মালিক লাল বাবু জানান, পালিত পঙ্খীরাজ নামে একটি পাঁঠা নিয়মিত দুধ দেয়। তিনি প্রায় ২০ বছর আগে সহোদর বড় ভাইয়ের পাঁচটি পাঁঠা নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন।

প্রথমে এ পাঁঠা দ্বারা অন্য মানুষের ছাগীর প্রজননের জন্য পালন শুরু করলেও পরে সনাতন ধর্মের কালীপূজায় পাঁঠার চাহিদা ভেবেও তার খামারে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, তিন বছর বয়সে পঙ্খীরাজ পাঁঠাটি দুধ দিতে শুরু করে। এ দুধ আমরা পরিবারের সবাই খাই।

এলাকার ৭৫ বছরের বৃদ্ধ আ. খালেক মোল্লা বলেন, পাঁঠাও যে দুধ দেয়, আজব এ ঘটনা জানাজানি হলে সচক্ষে দেখার জন্য অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শত শত লোক লাল বাবুর খামারে আসেন। এখন সবাই আসেন তাদের বহুদিনের জটিল রোগ থেকে আরোগ্য লাভের আশায় একটু দুধও নিতে।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে আসা বাবু মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশে এক বয়স্ক লোকের দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি রোগ ভালো হচ্ছিল না। লাল বাবুর পাঁঠার দুধ খেয়ে এখন তিনি অনেক ভালো আছেন। পাঁঠার যে দুধ হয় দেখার জন্যই এসেছি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আ. হাকিম বলেন, হরমোনের কমবেশির কারণে ওই পাঁঠাটার এমনটি হতে পারে।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ অক্টোবর ২০১৯/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন