আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত জেনেও মাছ ধরছে হাজার হাজার জেলে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-০৯ ১৯:৪২:২২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ‘বুলবুল’। উপকূলের আরও কাছে এগিয়ে এসেছে এই ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ ৯ উপকূলীয় জেলায় ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে।

কিন্তু ১০ নম্বর এই মহা বিপৎসংকেত মানছেন না ভোলার জেলেরা। মহা বিপৎসংকেত উপেক্ষা করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছেন তারা। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা নদীর তুলাতুলি, ভোলার খাল, মনপুরা উপজেলাসহ বেশ কিছু ঘাট থেকে নদীতে মাছ শিকার করতে দেখা যায় জেলেদের।

সরেজমিনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেখা যায়, ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি, ভোলার খাল, ইলিশা জংশন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে ছোট নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত কয়েক হাজার জেলে।

এদিকে, আবহাওয়াবিদেরা বলেছেন শনিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে সমতলে আঘাত হানবে বুলবুল। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। উপকূলের আটটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এমন মহা বিপৎসংকেত উপেক্ষা করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের কারণ জানতে চাইলে তুলাতলির জেলে মো. কামাল মাঝি, জাকির ও আলম মাঝি জানান, ঝড়বৃষ্টি হলে নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। তাই নদীতে নেমে পড়েছি। অন্য দিনের তুলনায় আজ অনেক মাছ পেয়েছি। পাইকারি আড়তেও আজ দাম বেশি।

একই কথা বললেন ভোলার খাল, ইলিশা জংশন ও মনপুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করা জেলেরা। তাদের ভাষ্য, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়নি। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আমরা আগেই টের পাব। যখন পরিস্থিতি অনেক খারাপ বুঝতে পারব তখন নদীর তীরে চলে আসব আমরা।

তুলাতলি ঘাটের আড়তদার আব্দুল খালেক মেম্বার বলেন, নদীতে যেতে জেলেদের নিষেধ করেছি আমরা। কিন্তু আমাদের কথা শুনেনি তারা। ঝড়বৃষ্টি হলে অনেক মাছ পাওয়া যায় এমন লোভে নদীতে নেমেছে তারা। এতে যেকোনো সময় ঘটবে দুর্ঘটনা। নদী থেকে জেলেদের ধরে আনতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি জানার পর বিকেলে অনেক জেলেকে নদী থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে। আবারও কিছু জেলে নদীতে নেমেছে। তাদেরকেও নদী থেকে তুলে আনা হবে। কোনো জেলে যাতে আর নদীতে নামতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমরা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। উপকূলের আরও কাছে এগিয়ে এসেছে এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে সমতলে আঘাত হানবে বুলবুল।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন