Sylhet View 24 PRINT

উন্নয়নের পুণ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেহেস্ত যাওয়ার হক আছে : মান্নান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৮ ১৯:০৪:২৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দেশের মানুষ পেট ভরে তিনবেলা ভাত খাচ্ছে। প্রায় ৯৫-৯৬ ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এ কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত পুণ্য অর্জন করেছেন যে, তার বেহেস্তে যাওয়ার অধিকার আছে, হক আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এ উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ভালো খাই, ভালো পরি। আমরা তিনবেলা ভাত খাই। তিনবেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছে, এই বুভুক্ষু জাতির ইতিহাসে তেমন কোনো উদাহরণ ছিল না। সেই জাতির প্রায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। এ দেশের ৯৫-৯৬ ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে গেছি। এর চেয়ে বড় উন্নয়ন মেলা আর কি হতে পারে। এই একটি কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন পরিমাণ পুণ্য অর্জন করেছেন যে, তার বেহেস্তে যাওয়ার অধিকার আছে। হক আছে।’

কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নয় বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী চান, সব সংস্থা যেন তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত হয়। যদিও ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নানা ধরনের বকাঝকার মধ্যে বাস করি। তারপরও চাই ব্যাংকগুলো যেন তাদের নিজস্ব বোর্ড, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব বিধি-বিধান অনুযায়ী চালুক। সকাল, বিকাল হস্তক্ষেপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর মোটেও উদ্দেশ্য নয়।’

প্রধানমন্ত্রী গত ১০ বছরে একনেক সভায় (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) এক মিনিট দেরি করে আসেননি বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যেদিন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী একনেকে আসতে পারবেন না, তার আগের দিন জানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু দেরি করেননি। এটা বলার দরকার আছে এ দেশে। কারণ প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, উচ্চ অতিথি সভায় দেরি করে আসেন। এ থেকে আমাদের শেখার আছে।’

এই জাতিকে হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক অনুষ্ঠানে যাই, যেখানে ঘরভর্তি বাঙালি। একটি লোকও নেই যে, অন্য কোনো ভাষা জানেন। কিন্তু সেখানে সব কিছু ইংরেজিতে উপস্থাপন করা হয়। আবার মুখে বলা হয় বাংলা, কিন্তু কাগজ করা হয় ইংরেজিতে। পুরো সেশনটাই ইংরেজিতে হয়, এতে যিনি বলছেন তারও কষ্ট হয়, আবার যিনি শুনছেন, তারও কষ্ট হয়। তারপরও এ কাজটা আমরা করে যাচ্ছি। এর কারণ আমরা নিজেরা নিজেদের সম্মান দিচ্ছি না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বক্তব্য রাখেন।


সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৮ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.