আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এমপির সামনেই আ’লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, অতঃপর...

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৯ ২২:০৩:০৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সম্মেলনস্থল।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং ভাংচুরের ঘটনায় সম্মেলন প্রক্রিয়া পণ্ড হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন কলাপাড়া-৪ আসনের এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিবসহ কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার শেষ বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার জেরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মোশারেফ হোসেন ও পলাশ তালুকদারকে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া-৪ আসনের এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিবের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা বদিউর রহমান বন্টিনের সভাপতিত্বে এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন শুরু হয়।

দ্বিতীয় পর্বে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণের ক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটের ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের মধ্য চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ভাংচুর, ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি প্রার্থী রিন্টু তালুকদার এ ঘটনার জন্য অপর সভাপতি প্রার্থী ও জেলা পরিষদ সদস্য এসএম মোশাররফ হোসেনকে দায়ী করেন। তবে মোশাররফ হোসেনও পাল্টা অভিযোগ করে ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন।

এ দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সংঘর্ষের একপর্যায় বিক্ষুব্ধরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় এমপি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে উঠে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি সটকে পড়েন এমপি মহিব্বুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসানসহ অন্য নেতাকর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে চম্পাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান আজকের ঘটনার জন্য দায়ী। তার উসকানিতে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি যেহেতু এমপির প্রার্থী সে ক্ষেত্রে তার সঙ্গে বেয়াদবি করার প্রশ্নই ওঠে না।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এমপি ও দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে পলাশ তালুকদার ও চম্পাপুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এমপির সঙ্গে ওরা বেয়াদবি করেছে। তার জন্য আমরা দুঃখিত।

কলাপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করেন একটু ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ ঘটনায় কলাপাড়া-৪ আসনের এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন