আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

বেনাপোল কাস্টমে ১৭ কেজি স্বর্ণ চুরি, ১১ দিনেও আটক হয়নি কেউ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২১ ১৮:৫১:৩০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেঙে ৮ কোটি টাকা মূল্যের  ১৭ কেজি স্বর্ণ চুরি যাওয়ার ঘটনার ১১ দিনেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এমনকী উদ্ধার করা যায়নি চুরি যাওয়া স্বর্ণও। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে । ডিবি ও পিবিআইকে দিয়ে চুরির ঘটনা তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।

চিঠিতে বলা হয়, গত ০৮ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), সরকারি ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভোল্ট ভেঙে ১৭ কেজি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা কিন্তু গত ১১ দিনেও তা উদ্ধার ও চোর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ , ডিবি, পিবিআই ও র‌্যাবের ইনভেন্ট্রি অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৬৫৮৮.৪৩ কেজি স্বর্ণ, ১৯,২৩০ ভারতীয় রুপি এবং ৩৭,০০০ বাংলাদেশি টাকা চুরি যায়।

চুরির ঘটনা জানার পরপরই কমিশনার ভোল্টের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যকে অবহিত করা হয়। বন্ধের সময় কর্মরত ৪ (চার) জন সিপাইকেও দায়িত্ব অবহেলার জন্য তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআইসহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয়। তাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।

যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  ইতোমধ্যে কাস্টম হাউস ও চেকপোস্টের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা  হয়েছে। মূল্যবান গুদাম পাহারার জন্য পৃথক সিপাই ও আনসার পদস্থ করা হয়েছে।

চুরির ঘটনায় বন্দর থানা, পুলিশ সূত্রে জানা যায় বহিরাগত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আজিবর রহমান, মো. সুরত আলী, মহব্বত হোসেন, আসাদুজ্জামান, আলাউদ্দিন, সুলতান, আবুল হোসেন, টিপু সুলতান, ইমরান হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে গুদাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। শুল্ক গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিপাই এবং আনসার সদস্যগণকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে চুরি যাওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ১৯.৩১৮ কেজি বলা হয়। পরবর্তীতে ইনভেন্ট্রি করে দেখা যায়, শুল্কগুদামে ১৯৭৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আটককৃত বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা, রূপা ও রৌপ্যসদৃশ বস্তু, স্বর্ণের গহনা ও স্বর্ণের বার, ঘড়ি ইমিটেশনসহ আরো অন্যান্য মূল্যবান জিনিস রক্ষিত থাকলেও পুরাতন জিআরের কোন স্বর্ণ চুরি হয়নি শুধুমাত্র ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আটককৃত স্বর্ণই চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া ১৬.৫৮৮ কেজি স্বর্ণ এআরও বিশ্বনাথ কুন্ডু দায়িত্বে থাকাকালীন গুদামে জমা হয়।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, সোনা চুরির পর পরই কাস্টমস থেকে ৭ জনকে এনে জিঞসাবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তদন্ত অব্যাহত আছে। এটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

সৌজন্যে :: বিডি প্রতিদিন
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন