সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২২ ১৭:৩৭:৫৯
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভেজা হাত মুছতে গিয়ে বিঁধে গেছে কাপড়ে জড়িয়ে থাকা সূচ। তাই নিয়ে গত ১৫ দিন ধরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম।
শরীরে ভেঙ্গে থাকা সূচটি বের করার মতো উপযুক্ত সময় দায়িত্ব-রত সার্জন দিতে না পারায় চিকিৎসা ছাড়াই দিনের পর দিন তাকে হাসপাতালে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে কাটাতে হচ্ছে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশী আনোয়ার বেগম জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাঢ়িখালি গ্রামের গোলাম রসূলের স্ত্রী।
হাসপাতালের রেজিস্টার থেকে দেখা যায়, হাতের পেশিতে ভেঙ্গে থাকা সূচটি নিয়ে ৭ নভেম্বর তারিখে আনোয়ারা বেগম মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরদিন দায়িত্বরত সার্জন শফিউর রহমান তাকে সিভিসি, আরবিএস, ইসিজি, চেস্ট এক্সরে, সিরাম ক্রিয়েটিনিনসহ বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়েছেন।
এর মধ্যে এক্সরে পরীক্ষাটি হাসপাতালের বাইরে থেকে করাতে হয়েছে। কিন্তু নির্দেশিত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করার দুই সপ্তাহ পরও ভেঙ্গে থাকা সূচটি বের করা হয়নি।
হাসপাতালের দোতলায় ৬নং বেডে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী আনোয়ার বেগম বলেন, ডাক্তার ওমিপ্রাজল আর প্যারাসিটামল দিয়েছেন। সেগুলো নিয়মিত খেয়ে যাচ্ছি। তবে জানি না কবে আমার অপারেশন করবে আর কবেই বা বাড়িতে ফিরে যাব।
দায়িত্বরত চিকিৎসক শফিউর রহমান বলেন, হাসপাতালে এতদিন ধরে রোগীটি আছে সেটি কেউ অবগত করেনি। তাছাড়া রোগীর পক্ষেও কেউ আমার সঙ্গে দেখা করেনি বলে অপারেশন করা যায়নি।
তবে ইচ্ছে করলেই আমরা হাসপাতালে সব রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছি না। সংকটের কারণে বাইরে থেকেও লোকজন ডেকে পর্যন্ত অপারেশন থিয়েটারে কাজে নিতে হয় বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. বিকাশ শিকদার বলেন, নামে এটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। কিন্তু ১০০ বেডের জনবলও নেই। অথচ মাত্রাতিরিক্ত রোগীর চাপ। সপ্তাহে ৬দিন ওটির কাজ চললেও সংকটে সংকটে একেবারেই নাজেহাল অবস্থায়। ফলে আন্তরিকতা থাকলেও প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি