সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২২ ১৮:২০:৩৪
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা না নিয়ে জোড় পূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. রাব্বী হোসেন। সে নলছিটি উপজেলার বৈশাখীয়া গ্রামের মো. ইব্রাহীম হোসেন বাদলের ছেলে এবং বৈশাখীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ছাত্র।
বৈশাখীয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার পঞ্চম দিনে আরবি পরীক্ষা দিতে যায় মো. রাব্বী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় একঘণ্টা পর উক্ত কেন্দ্রের সচিব গোহাইলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক বডিচেঞ্জ করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে মো. রাব্বীকে গালমন্দ করে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায় রাব্বী ভয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়।
কেন্দ্র সচিব আবদুল মালেক বলেন, আমি কোনো পরীক্ষার্থীকে বের করে দেইনি। দায়িত্বরত শিক্ষকদের কেউ বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে সতর্ক করলে ওই ছাত্র কাউকে কিছু না বলে এডমিট কার্ড এবং খাতা রেখে চলে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, আবদুল মালেক এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তিনি প্রভাব খাটিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নাম কাটিয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব হয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব আবদুল মালেক বলেন, গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাই টিএনও সাহেব আমাকে কেন্দ্র সচিব বানিয়েছেন।
নলছিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জোড় করে পরীক্ষার্থী বের করে করে দেয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি