আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ভারতে পেঁয়াজ সংকটের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করছে আনন্দবাজার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০৭ ২১:৩১:৫৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতে পেঁয়াজ সংকটের জন্য বাংলাদেশ দায়ী করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

শনিবার সন্ধ্যায় ‘এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ টন পেঁয়াজ চলে গেল বাংলাদেশে, চড়া দামে নাশিকের পেঁয়াজ কিনে খাচ্ছি আমরা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ আসে মহারাষ্ট্রের নাশিক থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ দক্ষিণ ভারত থেকে আসে। কিন্তু এ রাজ্যেও তো পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রাজ্যের চাহিদা মেটাতে তার ভূমিকা কী?

সরকারি টাস্ক ফোর্সের এক সদস্যের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর এ রাজ্যে ৮ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি পেঁয়াজ লাগে। এখন বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ রাজ্যে তিন লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি। সেই ঘাটতির অংশটুকুই তো আমদানি করলে হয়ে যাওয়া উচিত? তা হলেই তো পেঁয়াজের দাম সারা বছর নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা।

কিন্তু পেঁয়াজ চাষিদের একাংশের দাবি , রাজ্যের যা চাহিদার প্রায় সবটাই ভিনরাজ্য থেকে আমদানি করা হয়। কারণ, এ রাজ্যের সিংহ ভাগ পেঁয়াজই রফতানি করা হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশে।

চাষিদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে হুগলি, নদিয়া, বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় পেঁয়াজ চাষ হত। এখন প্রায় সব জেলাতেই কম-বেশি পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। সে কারণে উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু চাষ করলেই তো হল না, ওই পেঁয়াজ সংরক্ষণও তো করতে হবে!

নদিয়ার এক চাষির দাবি, আড়তদাররা সেই সুযোগটা নেয়। কম পয়সায় পেঁয়াজ কিনে তারা মজুত করে প্রতিবেশি বাংলাদেশে রফতানি করে। ফলে আমাদের পেঁয়াজের বেশির ভাগটাই চলে যায় অন্য দেশে। মুনাফা লোটেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।’

তার আক্ষেপ, আমরা যদি সংরক্ষণ করতে পারতাম, তা হলে ফেব্রুয়ারিতে ওঠা পেঁয়াজ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুব কম দামে বিক্রি হত বাজারে। কিন্তু প্রতি বছর একই কারবার!

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চাষিদের কথা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, এ রাজ্যের পেঁয়াজ রফতানি হয়ে যায় বাংলাদেশে। আর নিজেদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় ভিনরাজ্য থেকে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এ রাজ্যে পেঁয়াজের যে ফলন হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলে গেছে। জুন-জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশেও এ রাজ্যের পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে।

তবে ভারতে পেঁয়াজ সংকট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে।

চাষিদের অভিযোগ, পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক। অর্থাৎ যে ব্যবসায়ী বাংলাদেশে এ রাজ্যের পেঁয়াজ রফতানি করছেন, তিনিই আবার অন্য সময় মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন।

চাষিদের দাবি, আমাদের পেঁয়াজ কম দামে কিনে বাংলাদেশে রফতানি করে এক বার মুনাফা। আবার ভিন রাজ্যের পেঁয়াজ এখানে আমদানি করে সেখান থেকেও লাভ লুটছেন তারা। সরকার বসে বসে দেখছে।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৭ ডিসেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন