আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রকল্পের প্রচার-বিজ্ঞাপনে বরাদ্দে হ-য-ব-র-ল দশা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-১৩ ১৯:৩৭:০১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা তদারকিকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ কোনো খরচ বরাদ্দ রাখা হয়নি। অথচ ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ রাখা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন- ৫) : নর্দান রুট’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন ও প্রচার খরচ দেয়া হয় ৫০ লাখ টাকা। অথচ ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন- ১)’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাবদ খরচ দেয়া হয় তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক কোটি টাকা।

‘রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় হতে সোনাদিঘী মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে ‘ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৪৮০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে এ খাতে বরাদ্দ করা হয় এক লাখ টাকা। একই ধরনের ‘কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপনে খরচ বরাদ্দ দেয়া হয় ছয় লাখ টাকা।

ওপরে বর্ণিত তিনটি উদাহরণের প্রথমটিতে একই ধরনের দুটো প্রকল্পের একটিতে ‘প্রচার ও বিজ্ঞাপন’ বাবদ কোনো বরাদ্দ নেই, দ্বিতীয়টিতে আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে একই ধরনের একটি প্রকল্পে এ খাতে যা বরাদ্দ, অন্যটিতে দ্বিগুণ। তৃতীয় উদাহরণে একই ধরনের একটি প্রকল্পে এ খাতে বরাদ্দ শূন্য হলেও দ্বিতীয়টিতে আছে, তৃতীয়টিতে আছে ছয়গুণ বেশি বরাদ্দ।

উদাহরণগুলো সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে ‘প্রচার ও বিজ্ঞাপন’ খাতে বরাদ্দের হ-য-ব-র-ল অবস্থার খণ্ডচিত্র মাত্র।

বর্তমানে ১৮শ’ এর ওপরে উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের কতগুলোতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত বর্তমান সরকারের সময় মোট ২০টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০টির মধ্যে শেষদিকের ১০টি একনেক সভায় অনুমোদিত ৮৫টি প্রকল্প বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর মধ্যে ১৭টি প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়নি, দুটি প্রকল্পের খরচের তথ্য পাওয়া যায়নি এবং বাকি ৬৬টি প্রকল্পে এ খাতে খরচের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট ৪৭ কোটি ২০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প কয়েকটি প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজনীয় সেসব প্রকল্প বাদে গণহারে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। দিলে এতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সুযোগ তৈরি হয়।

অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া কতটা যৌক্তিক, জানতে চাওয়া হয় সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জনগণের অর্থের প্রকল্প জনগণের জানার প্রয়োজন আছে। জনগণের অর্থ কোথায় ব্যয় হচ্ছে, কী কারণে ব্যয় হচ্ছে, তা তাদের জানার অধিকার আছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি বা টেলিভিশনে প্রচার করে থাকি।’

তবে এমনটি মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জনগণের টাকায় সরকার তার প্রচার নিতে চায়, বিষয়টিই তো অনৈতিক।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সংবাদকে পাঠ্যবইয়ের ভাষায় আমরা উন্নয়ন সংবাদ বলি। এ সংবাদ সাংবাদিকরা এমনিই করবেন। কারণ পাঠকের আগ্রহ আছে। প্রকল্প হবে, মানুষ দেখবে, মিডিয়া এমনিতেই প্রচার করবে। মিডিয়াতে টাকা দিয়ে প্রচার করতে হবে, বিজ্ঞাপন দিতে হবে, এর কোনো মানে নাই। পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান উঠছে, নিউজ করছেন সাংবাদিকরা। এজন্য কি টাকা দিতে হয়? দিতে হয় না।’

রোবায়েত ফেরদৌসের মতে, ‘প্রচার ও বিজ্ঞাপনে এত টাকা খরচের কোনো মানেই হয় না। গরিব মানুষের টাকায় প্রকল্প হবে, সেখানে এ খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়, বিষয়টা অযৌক্তিক।’

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়নে সুবিধা নেয়ার যে সংস্কৃতি, সেটার প্রতিফলন থাকতে পারে এখানে। একটা প্রকল্প প্রচার ও বিজ্ঞাপনে বরাদ্দ দিলে আরও ১০টাকে দিতে হবে - এ ধরনের একটা মানসিকতা কাজ করছে।’

প্রচার ও বিজ্ঞাপন বরাদ্দে যত অসঙ্গতি


প্রচারে শূন্য থেকে ১২ লাখ বরাদ্দ : কোনো কোনো প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে বরাদ্দ না থাকলেও সংশোধন করে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। এমন একটি প্রকল্প ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আইএমআইপি) (ফর মুহুরি ইরিগেশন প্রজেক্ট) (দ্বিতীয় সংশোধন)’। এ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাবদ প্রথম সংশোধন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ ছিল না। অথচ দ্বিতীয় সংশোধনীতে এ খাতে ১২ লাখ টাকা খরচের অনুমোদন নেয়া হয়েছে।

এক সংশোধনীতে বাড়ল তিন কোটি ৭৪ লাখ : কোনো প্রকল্প সংশোধন হলে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে খরচও লাফ দিয়ে বেড়ে যায়। ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) (প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্পে এ খাতে এক সংশোধনীতে খরচ বেড়েছে তিন কোটি ৭৪ লাখ সাত হাজার টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনীতে ‘প্রচার ও বিজ্ঞাপন’ খাতে চার কোটি ৫০ লাখ বরাদ্দ দেয়া হলেও আগে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।

প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ‘বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন (পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর) (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে। এতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খরচ দ্বিতীয় সংশোধনীতে ছিল এক কোটি, তৃতীয় সংশোধনীতে তা করা হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা।

‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রথম সংশোধনীতে ৩০ লাখ এবং দ্বিতীয় সংশোধনীতে করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনস্থ জরাজীর্ণ ডাকঘরসমূহের সংস্কার/পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ ১৫ লাখ মূল ডিপিপিতে থাকলেও সংশোধন করে তা ২০ লাখ টাকা করা হয়।

এছাড়া ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে ‘বিজ্ঞাপন’-এ মূল বরাদ্দ তিন লাখ, প্রথম সংশোধনীতে তা ছয় লাখ; ‘বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খরচ প্রথমে পাঁচ লাখ থাকলেও প্রথম সংশোধনীতে তা আট লাখ এবং ‘মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ মূল প্রকল্পে তিন লাখ থাকলেও প্রথম সংশোধনীতে চার লাখ টাকা করা হয়েছে।

সড়কে সেতু নির্মাণকাজের প্রচারেও বরাদ্দ : ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাট নামক স্থানে তিনটি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পেও প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেতু তিনটি নির্মাণে এ খাতে খরচ করা হবে চার লাখ টাকা।

রাস্তায় ছোটখাট, মাঝারি মানের সেতু নির্মাণে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘এসব ব্রিজের জন্য বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা বরাদ্দ রাখা খুবই দুঃখজনক। আগে ব্রিজটা তো ভালোভাবে করা দরকার। ব্রিজ ঠিক মতো হচ্ছে না, হওয়ার পর ভেঙে যাচ্ছে, দুর্বল মাল-মশলা ব্যবহার করছে। আবার এখানে এ টাকা বরাদ্দ রাখতে চায়, পুরো ব্যাপারটা অস্পষ্ট। দুর্নীতির একটা গন্ধ পাওয়া যায় এখানে।’

আশ্রয়ণের এক প্রকল্পে ৩২ লাখ, অন্যটিতে ১ কোটি ৬৭ লাখ : আলোচিত ৮৫টি প্রকল্পের মধ্যে একটি মাত্র প্রকল্প সংশোধনীতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে খরচ কমানো হয়েছে। সেটি হলো- ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র (এমডিএসপি) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপনে এক কোটি ১০ লাখ থেকে বরাদ্দ কমিয়ে প্রথম সংশোধনীতে করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। তবে একই ধরনের ‘আশ্রয়ণ-২ (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন খরচে বরাদ্দ রয়েছে এক কোটি ৬৭ লাখ নয় হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয়ভাবে এমন বড় বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ কমিয়ে ফেললেও খুব একটা সমস্যা হয় না।

অসঙ্গতির বিষয়ে যা বলছেন পরিকল্পনামন্ত্রী


একই ধরনের প্রকল্পে ভিন্ন ভিন্ন বরাদ্দের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এই চিত্র আছে। আপনারা যদি লিখিতভাবে জানান, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি দেখব। কোনো কোনো সময় হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে, এগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই দেখব।’

বড় বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, ’৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হলে এ খাতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ নাথিং (কিছুই না)।’

যা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা


এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রকল্পের চরিত্রের ওপর নির্ভর করে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের যৌক্তিকতা। কিন্তু যেসব প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বড় অংকের বাজেট রাখা এবং সেটা অনুমোদন করা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে কতখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ- সেটি বিবেচনার দাবি রাখে। আমরা আশা করব, এটা সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ ব্যয়। কিন্তু সেটা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে অযাচিতভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ বা জনগণের অর্থ অপচয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্যদিক থেকে এটা বিভিন্নভাবে কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেয়ার একটা উপায় তৈরি করে দেয়া হচ্ছে কি-না, এ প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘বরাদ্দের পেছনে যৌক্তিকতা আছে কি-না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। সেটা যদি না থাকে তাহলে অনিয়মের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বরাদ্দ অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কি-না কিংবা কাজটা সঠিকভাবে করা হয়েছে কি-না, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। এটা না হলে বড় ধরনের অনিয়ম সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।’

রোবায়েত ফেরদৌস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে বরাদ্দের দরকারই আমি দেখছি না। এ বরাদ্দ অপ্রয়োজনীয়।’

‘দ্বিতীয়ত, এ খাতে বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজন হলে টাকার একটা স্বচ্ছতা থাকা উচিত। তাদের বিবেচনার ভিত্তিটা কী? একটি প্রকল্পে কেন পাঁচ লাখ, একই ধরনের অন্য আরেকটি প্রকল্পে কেন ১৫ লাখ টাকা হবে, এটা পরিষ্কার নয়। এটা কি তারা আগে থেকে স্টাডি করেছে, রিসার্চ করেছে, কোথায় দেবে, কেন টাকাটা লাগবে? তার মানে একটা আনুমানিক ধরে দিচ্ছে, এর পেছনে ভালো পরিকল্পনা বা চিন্তা কিংবা গবেষণাও কাজ করছে না। অ্যাড-হক ভিত্তিতে ধরে দিচ্ছে, বৈজ্ঞানিক হচ্ছে না বিষয়টা’- যোগ করেন রোবায়েত ফেরদৌস।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, লোকজন তো বলছে বড় বড় দুর্নীতিও হচ্ছে। স্বচ্ছতা নেই, জবাবদিহি নেই – তাহলে কোন টাকা কোথা থেকে ব্যয় হচ্ছে, এগুলো খুব অস্পষ্ট মানুষের কাছে। যে কারণে জনমনে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে।’

‘কে, কাকে টাকা দেবে- সেটার অপব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে’ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক বলেন, ‘এটা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। আর দিলে স্বচ্ছতা আনা উচিত। কেন দেয়া হচ্ছে, যৌক্তিকতা দেখাতে হবে। সত্যি সত্যি প্রকল্পভিত্তিক ব্যয় হয়েছে, সেটার প্রমাণও দিতে হবে।’

বরাদ্দ না পাওয়া প্রকল্পগুলো

প্রচার ও বিজ্ঞাপনে বরাদ্দ না পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো- ‘ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ’, ‘সিলেট জেলার সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম, মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙন হতে রক্ষা’, ‘ভারতের ঝাড়খণ্ড হতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করার লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’, ‘পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’, ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’, ‘আলীকদম-জালানিপাড়া-কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক (প্রথম সংশোধিত)’, ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধন)’, ‘মডার্নাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাই সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’, ‘উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’, ‘জিএনএসএস করস-এর নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডাল স্টেশন আধুনিকীকরণ’, ‘থানচি-রেমাক্রি-মোদক-লিক্রি সড়ক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’, ‘সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ’, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি হতে ধরাভাঙ্গা এমপি বাঁধ পর্যন্ত মেঘনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ’, ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ এবং ‘বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি’।

প্রচার খাতে বড় বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পগুলো

প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ বড় বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার, ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পে ২৫ লাখ, ‘সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহণের উৎসমুখে এলেক্স লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পে ২০ লাখ, ‘মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পে ৩০ লাখ, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্প (চতুর্থ পর্যায়)’ প্রকল্পে ‘জনসংযোগ, প্রচার ও প্রকাশনা’ বাবদ পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৮৫ হাজার এবং ‘প্রচার ও বিজ্ঞাপন’ বাবদ নয় লাখ, ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মানিকগঞ্জ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পে অফিসে ২০ লাখ এবং পিডব্লিউডি অফিসে চার লাখ, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পে ৫০ লাখ এবং ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ’ প্রকল্পে প্রচার, বিজ্ঞাপন ও ডকুমেন্টারি বাবদ ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

অন্য প্রকল্পের কোনটায় কত বরাদ্দ


মোট ৮৫টি প্রকল্পের মধ্যে ওপরে আলোচিত প্রকল্পগুলো বাদে বাকি কোনো প্রকল্পে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে কত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার তথ্য তুলে ধরা হলো। এর মধ্যে ‘পালবাড়ী-দড়াটানা-মনিহার-মুড়ালী জাতীয় মহাসড়কের (এন-৭০৭) মনিহার হতে মুড়ালী পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে দুই লাখ, ‘বগুড়া-সারিয়াকান্দি জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০৩২) উন্নয়ন এবং বাঙালি নদীর ওপর আড়িয়ারঘাট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে দুই লাখ, ‘মাগুরা-নড়াইল (আর-৭২০) আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলীকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে দুই লাখ, ‘ফেনী (মাস্টারপাড়া)-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া (শান্তিরহাট) জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে ব্যয় দুই লাখ, ‘নাটোর রোড (বুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্পে দুই লাখ, ‘বড়তাকিয়া (আবুতোরাব) থেকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৫০ হাজার, ‘কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সড়ক (জেড-১১২৫) উন্নয়ন’ প্রকল্পে এক লাখ, ‘ফেনী-সোনাগাজী-মুহুরী প্রকল্প সড়কের ৩০তম কিলোমিটারে ৩৯১.৩৪ মিটার দীর্ঘ মুহুরী সেতু এবং বক্তারমুন্সী-কাজিরহাট-দাগনভূঁঞা সড়কের ১৩তম কিলোমিটারে ৫০.১২ মিটার দীর্ঘ ফাজিলাঘাট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে দুই লাখ টাকা, ‘যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৫৫) উন্নয়ন’ প্রকল্পে দুই লাখ টাকা, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন’ প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা, ‘শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা শাখা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে নওয়াপাড়া এলাকা এবং পদ্মা নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে চরআত্রা এলাকা রক্ষা’ প্রকল্পে দুই লাখ টাকা, ‘পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প- ৩ (আরেইআরএমপি- ৩)’ প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা, ‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলার সেচ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পে ১৫ লাখ টাকা, ‘বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা, সৌদি আরব’ প্রকল্পে ১৫ লাখ, ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন) (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর- ৭৪৯) উন্নয়ন’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদনাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পে তিন লাখ, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্পে ১০ লাখ, ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন, নোটিশ, পুনঃদরপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাবদ দুই লাখ; ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১০ লাখ; ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড- ৫৭০৬), ডোমার (বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা (ভাদুরদরগাহ) (জেড- ৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরগাহ-ডিমলা (জেড- ৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে দুই লাখ; ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পে ছয় লাখ, ‘ময়মনসিংহ (রঘুরামপুর)-ফুলপুর-নকলা-শেরপুর (আর- ৩৭১) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়কের বিন্দুর মোড় হতে বিমানবন্দর হয়ে নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত পেভমেন্ট চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে তিন লাখ, ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (এন- ১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্পে আট লাখ, ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্পে ১২ লাখ, ‘বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার জন্য চারটি জাতীয় মহাসড়কের পাশে পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার স্থাপন’ প্রকল্পে ১০ লাখ, ‘খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশ (চার কিলোমিটার) চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে এক লাখ, ‘ইসিবি চত্বর হতে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পে তিন লাখ, ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্পে ছয় লাখ, ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ ব্যবহার’ প্রকল্পে ১০ লাখ, ‘সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা অঙ্গ-দ্বিতীয় পর্যায় (আইএফএমসি- ২)’ প্রকল্পে দেড় লাখ, ‘রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের অধীন পাহাড়/ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন কিলোমিটারে ড্রেনসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ’ প্রকল্পে দুই লাখ, ‘খুলনা কর ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পে নয় লাখ, ‘মধুমতি-নবগঙ্গা উপ-প্রকল্প পুনর্বাসন ও নবগঙ্গা নদী পুনঃখনন/ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা’ প্রকল্পে ‘প্রশিক্ষণ ব্যয় (প্রচার ও জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ)’ ছয় লাখ, ‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পে ১০ লাখ, ‘বগুড়া (জাহাঙ্গীরাবাদ)-নাটোর জাতীয় মহাসড়ক (এন- ৫০২) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘ঢাকা (মিরপুর)-উথুলী-পাটুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক (এন- ৫) এর নবীনগর হতে নয়ারহাট ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকা প্রশস্তকরণসহ আমিনবাজার হতে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন ও বাস-বে নির্মাণ’ প্রকল্পে চার লাখ, ‘লাকসাম (বিনয়ঘর)-বাইয়ারা বাজার-ওমরগঞ্জ-লাঙ্গলকোট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে এক লাখ এবং ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ এবং ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপন খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ‘বিএডিসির বিদ্যমান সার গুদামসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘জুনোসিস এবং আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা’ প্রকল্পের প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতের ব্যয়ের তথ্য জানা যায়নি।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ ডিসেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন