আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

মৌলভীবাজারসহ পাঁচ জেলায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-১৪ ১৪:১৯:৪৫

ফাইল ছবি

সিলেটভিউ ডেস্ক :: তীব্র শীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তারা কাজ করতে পারছেন না। সোমবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুর ও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। এসব জায়গায় ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজশাহী : অবিরাম মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীত। কনকনে শীত আর ঠাণ্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সবকিছু। সূর্যের দেখা মিলছে না বেলা ১১টা পর্যন্ত। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যা ও রাতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, তীব্র শীতের ফলে অনেক নবজাতক নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কোল্ড ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।

পঞ্চগড় : দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারও কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, নেহায়েত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

কুড়িগ্রাম : ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। হাসপাতালগুলোয় দিন দিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

টানা শীতের প্রকোপে প্রান্তিক ৬ লাখ মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত জেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য ৬১ হাজার ১৪টি কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের রূপ নিতে পারে।

চাঁদপুর : তিন-চারদিন তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নৌ ও সড়কপথে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে যাত্রীসাধারণকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

চলতি সপ্তাহে কুয়াশার ঘনত্ব ছিল শূন্য দৃষ্টিসীমায়। এ কারণে লঞ্চগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়েও নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্বে ঘাটে পৌঁছতে হচ্ছে।

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : সোমবার আবহাওয়া ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে ভোরের দিকে বেশি কুয়াশা থাকে। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন।

চা-শ্রমিক ও স্থানীয় নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার তাদের কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এদিন শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জানুয়ারি ২০২০/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন