আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

দুই বছরের শিশুকে জীবন্ত মাটিচাপা দিলেন মা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২০ ২১:৫০:৫৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ফাহিম হোসেন নামের দুই বছরের এক শিশুকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন মা শামীমা আক্তার বন্যা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকায় এ অমানবিক ঘটনা ঘটে। পরে শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামবাসী।

প্রতিবেশী শাহিনুর রহমান বলেন, শামীমা আক্তার বন্যা পুষ্পকাটি গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে। কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার কালিন্দি ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত. আব্দুল হাইয়ের ছেলে আর্মড পুলিশ সদস্য শিবলুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তিনি বলেন, বিয়ের আগে উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের খবির উদ্দীনের ছেলে সুজন হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শামীমার। ঘটনাটি জানতে পেরে বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়। এরই মধ্যে জন্ম নেয় শিশুপুত্র ফাহিম। মনোমালিন্যের কারণে শিশু ফাহিমকে নিয়ে পুষ্পকাটিতে বাবার বাড়ি চলে আসেন শামীমা। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না স্বামী শিবলু।

স্থানীয়রা জানায়, শামীমার মায়ের সঙ্গে কুলিয়ার হামজা মেশিনারিজের মালিক আলী হামজার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে পারিবারিক কলহ জোরালো হয়। একপর্যায়ে শামীমার বাবা ইব্রাহিম সংসার ত্যাগী হয়ে কর্মসংস্থানের খোঁজে বিদেশে চলে যান। মায়ের পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয় শামীমা।

একদিকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন অন্যদিকে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় মায়ের নির্যাতন- এসব হতাশা ও মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে রোববার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় গর্ত খুঁড়ে শিশুপুত্র ফাহিমকে জীবন্ত মাটিচাপা দেন শামীমা। প্রতিবেশী লিয়াকাতের স্ত্রী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে গর্ত থেকে শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করেন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদকর্মীরা শামীমার বাড়িতে হাজির হয়। এ সময় শিশু ফাহিমকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রেখে শামীমাসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।

বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় শিশু ফাহিমের মা শামীমা আক্তার বন্যার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে বাবা আর্মড পুলিশ সদস্য শিবলুর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেবহাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমারা সাহা বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজখবর নিয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হবে।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন