আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

চীনের করোনা ভাইরাস : বাংলাদেশে বিমানবন্দরে সতর্কতা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২১ ১৪:২৮:১৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চীনের করোনা ভাইরাস বিয়ে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।  চীনের রহস্যময় এই নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।

চীনের কর্তৃপক্ষ গত দুইদিনে ১৩৯ জন এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর বলছে, তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে, কারণ চীন থেকে আসা সব বিমান এই বিমানবন্দর দিয়েই ওঠানামা করে।

এছাড়া অন্যান্য বন্দরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশে এখনো করোনা ভাইরাসে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডাঃ সেবরিনা বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরে স্থাপিত হেলথ ডেস্কে এসব কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা- জ্বর,কাশি, গলাব্যাথা এসব নিয়ে আসছেন তাদের চেক করা হচ্ছে। আইইডিসিআর চারটি হটলাইনও খুলেছে। তারা বলছে, উল্লেখিত লক্ষ্মণগুলো কারো মধ্যে দেখা গেলে এসব হটলাইনে ফোন করে জানানোর জন্য।

নম্বরগুলো হচ্ছে:০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪,০১৯২৭৭১১৭৮৫। আইইডিসিআর বলছে, কারো শরীরে এর কোন লক্ষণ দেখা গেলে তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবেন। এছাড়াা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, এয়ারলাইন্সগুলো এবং এভিয়েশনে কাজ করা সবাইকে সচেতনও করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বিমানবন্দরে যে এলইডি মনিটর রয়েছে সেখানে রোগের লক্ষণগুলো জানানো হচ্ছে এবং কারো যদি এই লক্ষণগুলো থাকে তাকে হেলথ ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে ইউহান শহরে প্রথম সে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাকে করোনা ভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিল। গত সপ্তাহেই সিঙ্গাপুর, হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলস এবং নিউইয়র্কে চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল।

এবার বাংলাদেশেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও স্ক্রিনিং শুরু করার কথা জানানো হলো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ইউহানের পর চীনের নতুন নতুন শহরেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে আছে বেইজিং এবং শেনঝেন শহরের বাসিন্দারাও।

প্রাথমিকভাবে গবেষকরা বলেছিলেন যারা চীনের ইউহান শহরে মাছের বাজারে গিয়েছিলেন তারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু এমন কয়েকজন রোগী পাওয়া গেছে যারা কোনো মাছের বাজার বা বাজারেই যাননি। অবশ্য এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ জানুয়ারি ২০২০/আরএইচডি/মিআচৌ 

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন