আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে হত্যা করে মেয়ে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৮ ১৮:৫৫:৪৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মা মাহমুদা বেগমকে (৪৫) হত্যা করে মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যোতি।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় নিজ বাড়িতে প্রেমিক ও ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে। এই হত্যায় অংশ নেয় জ্যোতির প্রেমিক নাঈম ইসলাম এবং তার ৩ সহযোগী।

সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ সব কথা জানায় গ্রেফতারকৃত জ্যোতি, নাইম ও নাঈমের সহযোগী রাকিব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই শামীম আল মামুন জানান, কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় ঘটনার দিনই জ্যোতিকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যেরভিত্তিতে আটক করা হয় প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিবকে। অন্য দু'জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, আদালতে হাজির করার পর জ্যোতিকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। সোমবার বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

শুক্রবার বিকালে নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম আলিয়ার বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মেয়ে জ্যোতি আক্তার, তার কথিত প্রেমিক নাঈম ইসলাম এবং তার সহযোগী রাকিব ও অন্য ২ সহযোগীর বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের করেন।

শুক্রবার রাতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জ্যোতি আক্তার তার মায়ের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই তার কথিত প্রেমিক কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৫) এবং তার সহযোগী একই গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে রাকিবকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, জ্যোতির সঙ্গে মোবাইল ফোন-ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারের আলাপচারিতায় ৮ মাস আগে ভোলা জেলার নির্মাণ শ্রমিক নাঈমের সঙ্গে জ্যোতির প্রেমের এবং দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ হন মা। তাই তিন মাস আগে জ্যোতি ও নাঈম পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই নাঈম ও তার ৩ সহযোগী জ্যোতির ঘরে প্রবেশ করে। রাতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও হত্যার সুযোগ পায়নি। সকাল ৭টার দিতে জ্যোতির বাবা প্রাতঃভ্রমণে বের হলে তারা মাহমুদা বেগমকে হত্যা করে।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন