আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নারীকর্মীদের গোপন ভিডিও ধারণ করতেন সজীব

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৮ ২১:১৭:৪৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক নারী কর্মীর ভিডিও ধারণ করতেন আড়ং এর সাবেক কর্মচারী সজীব। এসব ভিডিও দিয়ে সে ব্ল্যাকমেইল করতো ওই নারীদের। গ্রেফতারের পর পুলিশ এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, তার কাছ থেকে ৩৬টি ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে কর্মজীবী নারীদের মাঝে। তারা বলছেন, সব ক্ষেত্রে যদি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায় তবে তারা কাজের আগ্রহ হারাবে।

সিরাজুল ইসলাম সজীব। কাজ করতেন আড়ংয়ের সেলসম্যান হিসেবে। সেখানে নারী সহকর্মীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখান করেন তিনি। এতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে সজিব। এরই একপর্যায়ে ওই নারী সহকর্মীর পোশাক পরিবর্তনের একটি ভিডিও করে সে। সেই ভিডিও মেয়েটিকে পাঠিয়ে কু-প্রস্তাব দেয় সে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে আড়ং থেকে চাকরি চলে যায় তার।

কিন্তু তাতেও তার অপরাধ থামে নি। চাকরি থাকা অবস্থায় আড়ংয়ের বেশ কয়েকজন নারী সহকর্মীর পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও করে সজিব। সেই ভিডিওগুলো দিয়ে প্রতারণা শুরু করে সে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, গ্রেফতার সজীবের কাছ থেকে ৩৬টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই আড়ংয়ে কর্মরত নারী কর্মচারীদের।

সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ডিভিশনের এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, সে কার্নিস দিয়ে উঠে সেলফি স্টিক দিয়ে ওপর থেকে ভিডিও করে। যারা পোশাক চেঞ্জ করেছে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এখানে সাধারণ মানুষের কোন ভিডিও পাওয়া যায়নি। যেসব ভিডিও পেয়েছি সবই আড়ংয়ের কর্মীদের।

কর্মজীবী নারীরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে যদি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায় সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নারীরা আগ্রহ হারাবে কাজ করার।


এক নারী জানান, চলাফেরা করতে গেলে আমরা অনেক কিছুর বাধার মুখে পড়ি। সেই সাথে যেখানে কাজ করছি, নেই পরিবেশটা অনুকূল না হলে কাজ করাটা মুশকিল।

অন্য এক নারী জানান, শপিং রুমে গিয়ে আমরা ট্রায়াল করতে গিয়ে হ্যারেজমেন্ট হতে হয় এবং ভয়ে থাকতে হয়; তাহলে আমাদেরকে এই সমাজের টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে।

আড়ং কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনাটি ক্রেতাদের চেঞ্জ রুমে নয়, ঘটেছে কর্মচারীদের চেঞ্জ রুমে। ক্রেতাদের চেঞ্জ রুমের জন্য তাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আড়ং-এর সিইও আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা ট্রায়াল রুম ফ্লোরের মধ্যে অবস্থিত এবং আমাদের ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকে। যেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ খেয়াল রাখবে বলে জানায় আড়ং কর্তৃপক্ষ।

সৌজন্যে :: সময়
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন