Sylhet View 24 PRINT

বনভোজনের টাকা দিতে না পারায় ১৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-১৩ ১০:৫৫:৪৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বার্ষিক বনভোজনের টাকা দিতে না পারায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ছাড়পত্র দেন। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছয়, ৭ম শ্রেণির তিন, ৮ম শ্রেণির পাঁচ ও নবম শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে রয়েছে। এ ঘটনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভুক্তভোগী পাঁচ শিক্ষার্থী বিকেলে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৪০০ টাকা চাঁদা ধরা হয়। টাকার অভাবে ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার টাকা দিতে না পারায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, নির্ধারিত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় আমাদের সন্তানেরা স্কুলের বনভোজনে অংশ নিতে পারেনি। এজন্য তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আমরা প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের উপযুক্ত বিচার ও অপসারণ চাই।

ছাড়পত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০। বার্ষিক বনভোজনের জন্য ৪০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। এতে অংশ নেয় ২৫০ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে এলাকার কিছু বখাটে ছেলে পৃথকভাবে একটি বাস ও দুটি মাইক্রো নিয়ে আমাদের সঙ্গে একই স্থানে বনভোজনে যায়। এদের সঙ্গে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীও ছিল। কিছু বখাটে ছেলে আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। বখাটেদের সঙ্গে যাওয়ার অপরাধে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মতামত নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, সভাপতি ঢাকায় থাকায় তার মতামত নেয়া হয়নি। তবে সভাপতি ছাড়া বনভোজনে অংশ নেয়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সদস্যের পরামর্শে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেরাজুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে। এর একটি অনুলিপি আমি পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজস্ব প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০/মিআচৌ



সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.