আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মণিপুরী ভাষা ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৫ ০০:৫৯:৫৩

ঢাকাবাসী মণিপুরী উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনার আলোকে ‘মণিপুরী ভাষা ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা’ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’র সহযোগিতায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’র সদস্য প্রফেসর ড.এ কে এম রিয়াজুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, গণস্বাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ এবং জাবারাং কল্যাণ সমিতি খাগড়াছড়ি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথি বলেন, মণিপুরী ভাষা অত্যন্ত প্রাচীন একটি ভাষা। এই ভাষায় প্রাথমিক এবং প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে অবিলম্বে স্কুল পর্যায়ে পাঠ দান শুরু করা হবে।

সভায় বিশেষ অতিথিগণ মণিপুরী সংস্কৃতির প্রশংসা করে বলেন, মণিপুরীরা উন্নত সংস্কৃতি অধিকারী জাতি গোষ্ঠীদের মধ্যে অন্যতম, বিশেষ করে মণিপুরী নৃত্য আজ বিশ্বজনীন। উন্নত এ সংস্কৃতির বিকাশে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ঢাকাবাসী মণিপুরী’র সভাপতি অতিরিক্ত সচিব (অব:) কোংখাম নীলমণি সিংহ’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রজিৎ সিংহ এবং রুমিতা সিনহা’র যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মণিপুরী ভাষা ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব শশী কুমার সিংহ, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এস সি সিনহা। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি কবি এ কে শেরাম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজী মো. আব্দুস সামাদ, শান্ত কুমার সিংহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে আসা বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসমুহের মধ্যে অন্যতম মণিপুরী জাতির সমৃদ্ধ ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নামানুসারে বর্ণিত মণিপুরী ভাষার নিজস্ব একটি বর্ণমালা রয়েছে। বাংলাদেশে মণিপুরীরা দীর্ঘদিন ধরেই মণিপুরী ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে কাজ করলেও সংখ্যাস্বল্পতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ না থাকায় মণিপুরী ভাষা সাহিত্য এদেশে এখনও তাঁর প্রকৃত রূপ ঐশ্বৈর্য্য নিজেদের মাঝে এবং এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মূল জনগোষ্ঠীর সামনে প্রকাশ করতে পারেনি। এদেশের সকল ভাষাগুলোর চর্চা ও উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন