আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

শাহজালাল বিমানবন্দরে বড় বিপদ থেকে রক্ষা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৫ ১৭:০২:৪০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজ অল্পের জন্য সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ফলে পাইলটদের দক্ষতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান ৩০০ যাত্রী।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে সিভিল এভিয়েশন। বুধবার কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য রানওয়েতে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। বোয়িং-৭৩৭ মডেলের প্লেনটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন মুনতাসির ও ফার্স্ট অফিসার তানজিন। একই সময়ে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট একই রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল।

ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের কাছ থেকে অবতরণের অনুমতি পেয়ে ইউএস-বাংলার বিমানটি নিচে নামতে নামতে রানওয়ে থেকে প্রায় ১ হাজার ফুট উচ্চতায় আসে। তখন ইউএস-বাংলার পাইলট রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি দেখতে পায়। পাইলট তৎক্ষণাৎ নিজ সিদ্ধান্তে নিচে না নেমে প্লেনটি উড়িয়ে অন্যত্র চলে যান।

বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয় শাহজালালে। একে অন্যের ওপর দোষারোপ করে বিমান ও শাহজালালের ট্রাফিক কন্ট্রোল।

সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, সেসময় রানওয়েতে কোনো কুয়াশা ছিল না। তবে ওই সময় অনেক ট্রাফিক (অতিরিক্ত ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের চাপ) ছিল। এ কারণে এ ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।

ঘটনার ৯ দিনেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সেসময়কার কর্তব্যরত ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসার এবং পাইলটদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র।

এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান আরও বলেন, অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে আমার ধারণা। এ ধরণের ঘটনা স্বাভাবিক নয় এবং কাঙ্ক্ষিতও নয়। এক্ষেত্রে পাইলট নাকি কন্ট্রোলারের ভুল ছিল তা দেখা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে, রিপোর্ট আসুক। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০/জিএসি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন