আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

করোনা উপসর্গে নারীর মৃত্যু, দাফনে বাধা, লাশ পড়ে আছে নৌকায়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৯ ১৪:৩১:৩১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: নরসিংদীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সুলতানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গার্মেন্ট কর্মী মারা গেছেন। মৃত সুলতানা ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। সে জ্বর ঠান্ডা-কাশি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় মারা যান তিনি।

সুলতানা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টে কাজ করতেন। মৃতের নমুনা সংগ্রহের জন্য নরসিংদী থেকে একটি টিম রওয়ানা দিয়েছে।

সুলতানা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে-এ ভয়ে স্বামীর বাড়ি কাজির কান্দিতে লাশ দাফন করতে দেয়নি গ্রামবাসী। এমনকি সুলতানার স্বামী আমানউল্লাকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছে না তার স্বজনরা। এখনো লাশ পড়ে আছে নৌকায়। লাশ পাহাড়া দিচ্ছেন মৃতের বাবা ফরিদ মিয়া।
 
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বর-ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন সুলতানা। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের পর বন্ধ হয়ে যায় শিল্প কারখানা। এরই মধ্যে বুধবার তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে সে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী নিজ বাড়ি আলোকবালীতে চলে আসেন। সকালে তার শ্বাস কষ্ট আরও বেড়ে যায়। পরে বটতলী এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই সুলতানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে তার লাশ স্বামীর বাড়ি কাজির কান্দি গ্রামে নেওয়া হয়।

কিন্তু করোনা উপসর্গ থাকায় গ্রামের লোকজন তাকে স্বামীর বাড়িতে দাফন করতে দেয়নি। পরে লাশ নিয়ে পুনরায় বাবার বাড়ি আলোকবালীর উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। সবশেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত লাশ নদীর ঘাটে নৌকায় পড়ে আছে।

আলোকবালী গ্রামের বাসিন্দা সমির বলেন, করোনার আক্রান্ত হয়েছে কিনা? সেই ভয়ে স্বামীর বাড়ি কাজির কান্দিতে লাশ দাফন করতে দেয়নি । মৃতের স্বামীকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছে না তার স্বজনরা। এখনো লাশ পড়ে আছে নৌকায়। লাশ পাহাড়া দিচ্ছেন মৃতের বাবা।
 
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, মৃত নারী শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহের জন্য নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পরই তার লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে। এরপর বলা যাবে মৃত ব্যক্তি করোনা পজিটিব না নেগেটিভ।

এদিকে, নারায়নগঞ্জ থেকে আগত বিজয় ও দুলাল নামে দুই গার্মেন্ট শ্রমিক নিজ বাড়ি হাজিপুর এলাকায় আসলে গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে পুলিশ খবর দেয়া হলে তারা পালিয়ে যায়।

সৌজন্যে : বিডি-প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯ এপ্রিল ২০২০/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন