Sylhet View 24 PRINT

দেখছিলাম শুধু আগুন আর আগুন : বিধ্বস্ত বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-২৩ ১৪:৩০:৩৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানের ৯৯ যাত্রীর দু’জন ছাড়া সবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা দু'জনের একজন মুহাম্মদ জুবায়ের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময়টায় চার পাশে ‘শুধু আগুন আর আগুন’ দেখছিলেন তিনি।

দেশটির বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) জেট বিমান এ-৩২০ এ, ৯১ জন যাত্রী এবং ৮ জন বিমান কর্মী ছিলেন। লাহোর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে পাকিস্তানের অন্যতম ব্যস্ত একটি বিমানবন্দর করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।

 শুক্রবার দুপুরে করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় অল্প দূরের আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

বেঁচে যাওয়া জুবায়ের ছোটখাটো কিছু আঘাত ছাড়া তেমন কোনো জখম নেই। তিনি জানান, বিমানটি অবতরণের চেষ্টা নেওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়।

“বিমানটি বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছে, এটা কেউই বুঝতে পারছিল না; খুবই সাবলীলভাবে বিমানটি চালাচ্ছিল তারা (পাইলটরা)।”

এরপর আর কিছু মনে নেই জুবায়েরের। চেতনা ফেরার পরের দৃশ্য নিয়ে তিনি বলেন, “চতুর্দিক থেকে কেবল চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। শিশু-বয়স্কদের চিৎকার। আমি শুধু আগুন আর আগুন দেখছিলাম। আমি কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না-কেবল তাদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম।”

“আমি আমার সিটবেল্ট খুলে ফেলি। সামান্য আলো দেখতে পারছিলাম-ওই আলোটার দিকে আমি ছুটে যায়। ওখান থেকে নিরাপদ স্থানে যেতে আমাকে প্রায় ১০ মিটার উঁচু থেকে লাফ দিতে হয়।”

সিন্দু প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যু হওয়া ৯৭ যাত্রীর ১৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। আগুন নিভিয়ে ধ্বংসাবশেষ থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধারকার্যের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এএফপি’র একজন রিপোর্টারও।

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস-পিআইএ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার পর পরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে লাহোর থেকে করাচিগামী বিমানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পবিত্র রমজান শেষে পাকিস্তানিরা যখন ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশটিতে। যাত্রীদের অধিকাংশই ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছিল।

বিমানটিতে কোনো ধরনের ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছেন পিআইএ’র প্রধান নির্বাহী আরশাদ মাহমুদ মালিক।

এদিকে, পাকিস্তানের টিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ওই এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উজায়ের জানিয়েছেন, বিকট আওয়াজ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, প্রায় চারটি বাড়ি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন জ্বলছে।

সৌজন্যে : বিডি-প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ মে ২০২০/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.