আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ছিনতাইয়ের ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা স্বামী-স্ত্রীর

ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৩ ০১:০১:১১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: শুধু রাজধানীতেই গত ২৪ বছর ধরে ছিনতাই করে আসছে এক দম্পতি। হান্নান-পারভীন দম্পতির ছিনতাই গ্রুপের সদস্য ৬ জন। তারা বারবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, জেল থেকে বেরিয়ে আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে। পুরান ঢাকার ন্যাশনাল ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা থেকে ৮০ লাখ টাকার বস্তা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ সময় ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার ও দুটি বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়। এই অভিযানের পর তাদের সহযোগী মোস্তফা (৫২) ও বাবুল মিয়াকে (৫৫) যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে হান্নান ওরফে রবিন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫৫) এবং তার স্ত্রী পারভীনকে (৪১) গ্রেফতার করা হয় পুরান ঢাকার ধূপখোলার একটি বাসা থেকে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত ব্রিফ করা হয়।

তিনি জানান, ঘটনার দিন বাবুবাজারে ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়িটির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হান্নান ও পারভীন। এ সময় তারা লক্ষ্য করেন গাড়ির দরজা অর্ধেক খোলা। সামনে বসা চালক আর পেছনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তাকর্মী। আর কেউই নেই। জানালা দিয়ে তারা ভিতরে দেখেন একটি বস্তা সেখানে। হাত দিয়ে নেড়ে দেখেন বস্তাটি অনেক ভারী। এই সুযোগে পারভীন নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে গল্প শুরু করে দিয়ে তার মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যায়। আর হান্নান গাড়ির ভিতর থেকে বস্তাটি বের করে নিয়ে হাঁটা শুরু করেন। এরপর তারা টাকার বস্তাটি তাদের ধূপখোলার বাসাতেই রাখেন।

এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা আইনজীবীর পেছনে ব্যয় এবং বিভিন্ন মানুষকে দান করেন। ওইদিন ওই ব্যাংক থেকে আরও ৬ কোটি টাকা নামানোর কথা ছিল। ঢাকার বস্তা গাড়ি থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনার পরে তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কাউকে তারা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। এরপর একটি ব্যাংকের ফুটেজ নিয়ে তদন্তে নেমে হান্নানের ছিনতাই গ্রুপটিকে শনাক্ত করা হয়। এর আগেও বিভিন্ন থানায় হান্নানের নামে ৩০-৪০টি মামলা রয়েছে। গত ১০ মে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যায়। দিনদুপুরে ঘটে যাওয়া ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এ মামলায় ওই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, গাড়িচালক ও দুজন নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে পুলিশ জানতে পারে ব্যাংকের টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে খোয়া যায়নি, ওই টাকা চুরি করা হয়েছে। টাকা উত্তোলনের কোনো এক পর্যায়ে ওই টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে চুরি করা হয়।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ জুন ২০২০/ডেস্ক/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন