আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মানিকগঞ্জ-১ আসন এলাকা এখন বিএনপি-জামায়াতের আশ্রয় ঘাঁটি: এস এম জাহিদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৭ ১১:১১:৪৩

যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এস এম জাহিদ বলেছেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনভুক্ত ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় থানা এলাকা এখন বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আশীর্বাদপুষ্ট জঙ্গিদের আশ্রয় ঘাঁটিতে পরিনত হয়েছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে জনপ্রতিনিধি ও নেতা বানানোর কারণে সেখানকার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিরা হামলা, মামলা, নীপিড়ন-নির্যাতনের নানা জুলুমবাজির শিকার হচ্ছেন।

একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘ সময়ের পোড় খাওয়া নেতা হিসেবে সমধিক পরিচিত এস এম জাহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাত্র দেড়-দুই বছর আগেও নির্বাচন পূর্ব নানা কর্মসূচিতে গিয়ে মানিকগঞ্জে শক্ত দলীয় অবস্থান দেখেছি। নেতা কর্মিদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়াও ছিল। তখন পর্যন্ত ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের মধ্যে অপরাধের ছায়া দেখিনি। অথচ সেই নেতা কর্মিদের নামে দেদারছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, বখড়াবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ শুনে বুকটা দুমরে মুচরে যায়। অরাজনৈতিক জনপ্রতিনিধির অঙ্গিকারহীন, দায়বদ্ধতামুক্ত কর্মকান্ডের সুযোগে দলে অনুপ্রবেশারী চক্রটি পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের অপরাধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় থানা তথা মানিকগঞ্জ-১ আসন এলাকা হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামাতিদের নিরাপদ নির্বাসন কেন্দ্র।

অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব জুটিয়ে নিয়ে দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা কর্মিদের সরিয়ে দিয়ে বিএনপি জামায়াত নেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ সব পদে বসিয়েছে। তারাই এখন চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তার সব দায় আওয়ামী পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের উপর চাপাচ্ছে। তারাই আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের একের পর এক মামলা, হামলা, হয়রানি-নির্যাতনের মাধ্যমে এলাকাছাড়া করে রাখছে। অরাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি, উড়ে এসে জুড়ে বসে দলের কান্ডারি সেজে ভিআইপিরা আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারায় লিপ্ত।

এস এম জাহিদ দিকদর্শণকে আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক বিস্তৃতির জের ধরে সারাদেশেই মহাবিপর্যয়ের ভয়াল তাবা বিদ্যমান। সরকার প্রধান প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। লকডাউনের বেহাল পরিস্থিতিতেও দেশের কোনো মানুষ যেন খাদ্যাভাবের শিকার না হয়-এজন্য তিনি ত্রাণ ভান্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সর্বত্র খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রির উপহার এমনকি নগদ টাকা পর্যন্ত বিতরণে জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত উপহারের ডালাও মানিকগঞ্জের নদীসিকস্তি হতদরিদ্র লাখো পরিবারের কাছে পৌঁছানো যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদেরকেই এ ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হবে, ব্যক্তি কেন্দ্রীক-পরিবার কেন্দ্রীক দুর্নীতি-লুটপাটের দায়ভার কোনো দল গ্রহণ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন জাহিদ।

সৌজন্যে: দৈনিক আজকের অগ্রবাণী

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন