আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আইওসি মিডল ইস্ট এফজেডই ও আরআর হোল্ডিংস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০১ ২৩:৫০:০৪

ভারতের বৃহত্তম রিফাইনার ও পেট্রোলিয়াম পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের মালিকানাধীন দুবাইভিত্তিক সহায়ক সংস্থা আইওসি মিডল ইস্ট এফজেডই এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো এলপিজির নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রস আল খাইমাহভিত্তিক আরএআর হোল্ডিংস লিমিটেড বাংলাদেশে এলপিজি ব্যবসার জন্য একটি ৫০:৫০ মালিকানার যৌথ উদ্যোগ সংস্থা গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

গতকাল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। হাইকমিশন জানায়, ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও ইস্পাতবিষয়ক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্দো-বাংলাদেশ সহযোগিতার ইতিহাসে একটি বড় উপলক্ষ হলো দুবাইভিত্তিক ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি ব্যবসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এলপিজি সংস্থার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।’ এলপিজির ব্যাপক ব্যবহারে ভারতের সাফল্যের মতোই এ নতুন যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যের এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সহায়ক হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিং বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েল ১৯৯৯ সালে লুব্রিক্যান্ট বিপণন দিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা করেছিল এবং আজ বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী অংশীদারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের এলপিজি বাজার গত পাঁচ বছরে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রত্যাশা করা হচ্ছে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১২ থেকে ১৩ শতাংশ বাড়বে। নতুন যৌথ সংস্থা (জেভিসি) ইন্ডিয়ান অয়েলের মূল দক্ষতা এবং বেক্সিমকোর স্থানীয় দক্ষতা থেকে শক্তি অর্জন করবে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুসারে সংস্থাটি বেক্সিমকোর বিদ্যমান এলপিজি সম্পদ গ্রহণের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা বাংলাদেশের গভীর নৌবন্দরে একটি বড় এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন করা, যা খুব বড় গ্যাস ক্যারিয়ারের মাধ্যমে এলপিজি আনতে সহায়ক হবে এবং এতে আমদানি ব্যয় হ্রাস হবে। আমদানি ব্যয় হ্রাস বাংলাদেশের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহে সহায়তা করবে।’

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, এ যৌথ সংস্থার লক্ষ্য সবচেয়ে নিরাপদ, সহজতর ও আধুনিক এলপিজি সুবিধাসংবলিত গ্রাহক পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বাধিক বিশ্বস্ত, প্রশংসিত এবং প্রধানতম এলপিজি সংস্থা হয়ে ওঠা। যৌথ সংস্থা অন্যান্য আমদানিকৃত তেল ও গ্যাস ব্যবসা- লুব ব্লেন্ডিং প্লান্ট, এলএনজি, পেট্রোকেমিক্যালস, পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে এলপিজি রপ্তানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদিতেও বৈচিত্র্য আনতে চায়। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি এখানে সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন